সিউড়ি, 27 জুলাই: রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে কোনও বঞ্চনা থাকলে বা বিজেপির নীতিগত বিরোধিতা করলে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার বার্তা সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ৷ তবে, অকারণ বিতর্ক তৈরি করলে সমালোচনাই প্রাপ্য হবে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷
শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে বিতর্ক শুরু হয়েছে, যা নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সিপি(আই)এমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি বলেন, "ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা আগেই, এই বৈঠকে যাবেন না বলে ঠিক করেছেন ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে যাব, তারপর যাব না, এসব বলে অবশেষে গেলেন ৷ আসলে উনি জল মাপছিলেন ৷ আরএসএস চাইছে ঐক্যটা ভেঙে যাক ৷ যেই দেখলেন সমালোচনা হচ্ছে ৷ তখন উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) একটা ছুতো খুঁজে বেরিয়ে এলেন ৷ বাস্তবও হতে পারে, আমি তো ছিলাম না ভিতরে ৷"
তবে, যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরির সমালোচনাও করলেন সেলিম ৷ তাঁর কথায়, "প্রথমত নীতি আয়োগে কোনও নীতি নির্ধারণ হয় না ৷ তাই তো যোজনা কমিশন বাতিল করা হয়েছে ৷ নামেই এটা আছে, সিদ্ধান্ত হয় অন্য কোথাও ৷ নাগপুরেও হতে পারে বা পিএমও অফিসে হতে পারে ৷" তবে, মমতার মাইক বন্ধ করা নিয়ে, চিটফান্ড দুর্নীতির সময় রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী বিধায়কদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া ও মারধরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সেলিম ৷ তিনি বলেন, "সেই সময় আমাদের বিধায়কদের মাইক বন্ধ করে দিয়েছিলেন উনি ৷ এমনকী মারধর করা হয়েছিল ৷ চিকিৎসা করাতে দেয়নি ৷ এবার বুঝুন কেমন লাগে, মাইক বন্ধ করলে !"
তবে, সত্যি মাইক বন্ধের মতো ঘটনা ঘটলে, তা নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেন সেলিম ৷ তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী কথা বলার সময় মাইক বন্ধ করা অন্যায় ৷ বিজেপির রাজত্বে এটা স্বাভাবিক ৷ ওরা কথা বলতে দেয় না ৷" তবে, মুখ্য়মন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক ৷