নবদ্বীপ, 12 মার্চ: চৈতন্য়দেব যে শ্রীকৃষ্ণেরই এক অবতার ছিলেন, পুরাণেও তার উল্লেখ পাওয়া যায় বলে মত চৈতন্য অনুগামীদের। চৈতন্য কথার অর্থ 'চেতনা'। যাঁর মধ্যে প্রকৃত চেতনার বিকাশ ঘটেছে, তাঁকে 'মহাপ্রভু' অর্থাত্ মহান গুরু বা ঈশ্বরের আখ্যা দিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। মঙ্গলবার 100 দেশের পাঁচ হাজার ভক্ত নিয়ে মহাপ্রভুর 538তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে শুরু হল নবদ্বীপ ইসকনের মণ্ডল পরিক্রমা ৷ বিশ্বের 100টি দেশ থেকে হাজার হাজার দেশি ও বিদেশিরা যোগ দিয়েছেন এই পরিক্রমায়। আজ থেকে শুরু হওয়া এই পরিক্রমা চলবে 18 মার্চ পর্যন্ত। নদিয়ার নবদ্বীপের ন'টি দ্বীপ ঘুরে কীর্তন সহযোগে এই পরিক্রমা ফের মায়াপুর ইসকনে ফিরে আসবে।
মহাপ্রভুর 538তম আবির্ভাব তিথি উৎসব উপলক্ষে এই পরিক্রমায় অংশ নিয়ে হাজারো ভক্ত এখন কৃষ্ণ নামে মাতোয়ারা হয়েছেন। কখনও জলপথে কখনও স্থলপথে নবদ্বীপের ন'টি দ্বীপে এখন পরিভ্রমণে ব্যস্ত দেশ ও বিদেশ থেকে আসা ভক্তরা। এবিষয়ে মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, "প্রতিবছরই মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। 538তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "তবে এই আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে মূল অনুষ্ঠান মণ্ডল পরিক্রমা। ইতিমধ্যেই 100টি দেশ থেকে 5 হাজার ভক্ত অংশগ্রহণ করছেন এই মণ্ডল পরিক্রমায়। জলপথ এবং স্থলপথ বিভিন্নভাবে ভাগ হয়ে তাঁরা পরিক্রমা করবেন। মহাপ্রভু সাধারণ মানুষের মধ্যে যে কৃষ্ণ নাম বিলিয়েছেন এবং কৃষ্ণনাম প্রচার করেছেন, মূলত সেই প্রচার অব্যাহত রাখতেই এই পরিক্রমা। পাশাপাশি তাঁর যে বাণী অর্থাৎ ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকলেই যাতে কৃষ্ণ নামে সম্মিলিত হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই এই মণ্ডল পরিক্রমা। 100 দেশের পাঁচ হাজার ভক্ত ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রায় লক্ষ লক্ষ ভক্ত ইতিমধ্যেই মায়াপুর ইসকনে আসতে শুরু করেছেন।"
আরও পড়ুন:
