কলকাতা, 20 এপ্রিল: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় সোমবার রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট । তার দু'দিন আগে এই সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বেশ কয়েক মাস আগে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি । শনিবার মামলার শুনানি চলাকালীন ইডির তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তিনি । পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলে ইডির দাবি, তাঁদের খাতাও দেখতে চান মানিক। বিচারককে তিনি বলেন, "আমার খুব সাধারণ আবেদন হুজুর। সত্যিটা খুঁজে বার করা হোক ।"
শনিবার কলকাতার ইডির বিশেষ আদালতে তাঁর মামলার শুনানি ছিল। ভরা আদালতে তিনি দাবি করেন, ইডি কোনও তদন্তই করেনি। তাঁর অভিযোগ, যে 325 জন ফেল করা ছাত্রের চাকরি পাওয়া নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে তাঁরা আদৌ ফেল করেছিলেন কি না ইডির কাছে সেই তথ্য নেই। এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিতে পারেনি ইডিও। সংস্থার আইনজীবীর দাবি, ইডি শুধু আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করছে। বাকি বিষয়ের তদন্ত আছে সিবিআইয়ের হাতে। তাঁর আরও দাবি এই মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডলের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এখানেই ইডির আইনজীবীর কাছে বিচারক জানতে চান, "রেজাল্ট ছাড়া এই 325 জনকে নিয়ে আপনারা মন্তব্য করছেন কী করে ?" সেই সময় ইডির তরফ থেকে বলা হয়, তারা শুধু আর্থিক দুর্নীতির তদন্তটা করছে। বাকি তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি সরাসরি মানিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে ইডি দাবি করে, এই 325 জনের থেকে তিনি 1 লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত 10 জন পরীক্ষার্থীকে পাশও করিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে । ইডির অভিযোগ নিয়ে মানিকের দাবি, এই 325 জনের রেজাল্ট তাঁকে দেখানো হোক।
আরও পড়ুন: