নদীয়া, 11 জুন: শ্রীচৈতন্যদেবের হরিনামে প্রেমের বাণী প্রচারের জন্য বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছে নদিয়া ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই খ্যাতি শীর্ষে পৌঁছেছে ৷ তবে বর্তমানে আরও বেশ কিছুর জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে নদিয়া ৷ বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য সম্প্রতি নদিয়ার লিচু পৌঁছে গিয়েছে আফগানিস্তানে ৷ এবার কৃষ্ণগঞ্জের হিমসাগর আম রওনা দিল উজবেকিস্তানের উদ্দেশে ।
এলাকার এক স্থানীয় আম চাষি বিদ্যুৎ বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি কৃষ্ণগঞ্জ মাজদিয়ার মথুরাপুরের আম বাগানে উজবেকিস্তানের একটি কোম্পানিকে এনেছিল রিসার্চ এগ্রো বায়ো কোম্পানি ৷ বাগানে এসে তারা নির্দিষ্ট 10টি আমের গাছ বাছাই করে বায়ো পেস্টিসাইডস পদ্ধতিতে ফলনের কথা বলেন । সেইসঙ্গে তারা জানান, আমের ফলন যেমনই হোক না কেন তারা সমস্ত আম নিয়ে যাবেন । কোনও রকম কীটনাশক আমের ফলনে ব্যবহার করা যাবে না ।
অনাবৃষ্টি এবং প্রখর গরমের কারণে অন্যবারের তুলনায় এবার আমের ফলন যথেষ্ট কম ৷ তবে এই দশটি গাছে আমের ফলন ভালোই হয়েছে । শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ আরও জানান, বাজারে এই মুহূর্তে কেজি প্রতি 60 টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর আম । অথচ কৃষ্ণগঞ্জের এই বাগানের আম দ্বিগুণ মূল্যে কিনে নিয়ে যাচ্ছে উজবেকিস্তানের এই কোম্পানি ৷ অর্থাৎ, কেজি প্রতি 120 টাকা দামে তারা কিনে নিয়েছেন সমস্ত আম । এর ফলে একদিকে যেমন আম চাষিরা দ্বিগুণ লাভের মুখ দেখছেন, তেমনি নদিয়ার আম বিদেশী মানুষদের রসনার তৃপ্তি মেটাবে ৷
এদিকে জৈব পদ্ধতিতে আম চাষ করে কীভাবে আরও বেশি পরিমাণে মুনাফা পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে ইটিভি ভারতের ক্যামেরার সামনে পরামর্শ দিলেন বাগানের আম চাষি ৷ তবে শুধু এই বছরের জন্য নয় ৷ উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগামী বছর একাধিক বাগানে ঘুরে তারা এভাবেই আম কিনে নিয়ে যাবেন ।