কোন্নগর, 26 সেপ্টেম্বর: ছেলের সামনে স্ত্রীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে । অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ বারুইকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মৃতের নাম মৈত্রী বারুই (22) । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর মাতৃ মন্দির এলাকায় ।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, "খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে । দেহের ময়নাতদন্তে ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে । অভিযুক্তের দাবি খতিয়ে দেখা হবে । অত্যাধুনিক অস্ত্র পুকুর থেকে পেলে সেটা লোডেড থাকা সম্ভব না ৷ যদি সে পেয়েও থাকে, পুলিশকে জানায়নি কেন ? সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ছেলের ঘর থেকে পটকার আওয়াজ শুনতে পান পরিমল বারুই । সেই শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখেন বউমা মৈত্রীর গলা থেকে রক্ত ঝরছে । চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজনও ঘটনাস্থলে ভিড় করে । তড়িঘড়ি তাদের সহায়তায় জখম মৈত্রীকে উদ্ধার করে কোন্নগর কানাইপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র সমেত মৃতের স্বামীকে আটক করেছে । তবে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন প্রসেনজিৎ সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । যদিও অভিযুক্তের দাবি, তিনি আগ্নেয়াস্ত্রটি কুড়িয়ে পেয়েছেন ৷ দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
অভিযুক্তের বাবা পরিমল বারুইয়ের কথায়,"ছেলে প্রসেনজিৎ রাজমিস্ত্রির কাজ করে । ছেলে বউমার মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল । ঝগড়া অশান্তি কিছু ছিল না । পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে তাঁদের ৷ বউমা নাতি ছেলে একই ঘরের মধ্যে ছিল । হঠাই পটকা ফাটার মত শব্দ পেয়ে দৌড়ে যাই তাঁদের ঘরে । ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি এই কাণ্ড । নাতির সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে । ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল সেটা জানি না । কাদের সঙ্গে মিশত বলতে পারব না । ছেলে বলল, বন্দুক দেখতে গিয়ে গুলি বেরিয়ে যায় । বন্ধুকটি কুড়িয়ে পেয়েছে বলছে ।"