রায়গঞ্জ, 8 মার্চ: এক বছর ধরে জমি নিয়ে শরিকি বিবাদ চলছে ৷ তা না-মেটায় ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরের সামনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। মৃতের নাম নুরুল হক ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়া ব্লকের মৌলালি এলাকার বাসিন্দা নুরুল হক ৷ বহুদিন ধরেই ভাই মহম্মদ আয়ুবের মধ্যে এক বিঘা জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল নুরুলের । সেই জমির বিবাদ মীমাংসার জন্য চোপড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের শরণাপন্ন হয়ে ছিলেন তিনি ৷ মীমাংসার জন্য ভূমি সংস্কার দফতরে দালালদের হাতেও বেশ কিছু টাকা দিয়েছেন বলেও দাবি মৃতের পরিবারের। তারপরও জমির মালিকানার কোনও মীমাংসা হয়নি। বৃহস্পতিবারও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন নুরুল হক ৷ তারপর সেখানেই কীটনাশক ওষুধ খান ৷
স্থানীয় বাসিন্দারা নুরুলুকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সামনে পড়ে ছটপট করতে দেখেন ৷ তাঁরাই ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান নুরুলকে। চিকিৎসকরা নুরুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর দেওয়া হয় নুরুলের পরিবারে ৷ মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে আসেন নুরুলের পরিবারের লোকজন ৷
এই প্রসঙ্গেই মৃত নুরুল হকের ছেলে শাহাবুদ্দিন বলেন, "আমার কাকা বাবার জমি জোর করে নিয়েছে ৷ বাবা এক বছর ধরে এই অফিসে ঘুরছে। এছাড়া ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরে দালালকে টাকাও দিয়েছিল বাবা । তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলে আজ বাবা অফিসের সামনে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ।" মৃত নুরুল হকের এক প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম জানান, নরুল হক অফিসের সামনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। কী এমন হল যে তিনি অফিসের সামনে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করতে হল। প্রতিবেশী ও নরুলের ছেলের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: