বাঁকুড়া, 12 অক্টোবর: নিরাপত্তারক্ষীর চোখ এড়িয়ে লেডিজ হস্টেলে ঢুকে পড়লেন এক যুবক ৷ শুধু তাই নয় অভিযোগ, বিল্ডিংয়ের দোতলার শৌচালয়ে গিয়ে হস্তমৈথুন করেন ওই যুবক ৷ পরে এক আবাসিক পড়ুয়ার নজরে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ৷ আরজি কর কাণ্ডে দোষীরা এখনও শাস্তি পায়নি ৷ নিরাপত্তার দাবিতে এখনও আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসকরা ৷ এই আবহে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ চিকিৎসক পড়ুয়ারা ৷
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেকে অভিভাবকের পরিচয় দিয়ে লেডিজ হস্টেলে প্রবেশের চেষ্টা করেন এক যুবক ৷ তবে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে গেটেই আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষী ৷ কিছুক্ষণ পর সেই নিরাপত্তারক্ষীর চোখ এড়িয়ে হস্টেলের পুরনো বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেন ওই যুবক ৷ এরপরই শৌচালয়ে তাঁকে হস্তমৈথুন করার সময় দেখে ফেলেন এক পড়ুয়া ৷ আতঙ্কে ওই আবাসিক পড়ুয়া ছুটে শৌচালয় থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করতে শুরু করায় অন্যান্য আবাসিকরাও ছুটে আসেন । খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷
এদিকে, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে শৌচালয়ের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন ওই যুবক ৷ পরে পুলিশে অভিযুক্তকে আটক করে । ঘটনার খবর পেয়ে লেডিজ হস্টেলে ছুটে যান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের পাঁচিল টপকে এক যুবক ঢুকে পড়েন লেডিজ হস্টেলে । সেই সময়ে অভিযুক্ত যুবক ধরা না পড়লেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন হস্টেলের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর আস্বাস দেয় । কিন্তু, সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ৷ অধ্যক্ষকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা ৷
আবাসিক পড়ুয়াদের অভিযোগ, নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়ার জন্য একাধিকবার বলা হলেও কর্ণপাত করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷ নিরাপত্তার চূড়ান্ত গাফিলতির জন্য দ্বিতীয় আরজি কর ঘটনা হতে পারতো ৷ দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর দাবী, দীর্ঘক্ষণ ডিউটি করার মধ্যে তিনি অল্প সময়ের জন্য শৌচালয়ে গিয়েছিলেন । তার ফাঁকেই ওই যুবক হস্টেলে ঢুকে পড়েছিলেন ।
কলেজ হস্টেলে নিরাপত্তার গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অধ্যক্ষ ৷ যদিও তাঁর দাবি, প্রয়োজন মতো নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ না করাতেই সমস্যা হচ্ছে । তবে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ।