কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: গৃহবন্দি বৃদ্ধকে উদ্ধারে গিয়ে ছেলের হাতে আক্রান্ত পুলিশ ৷ কাটারি নিয়ে পুলিশকে তাড়া ও আধিকারিককে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ আধিকারিককে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ ৷
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বাঁশদ্রোণী থানার ব্রহ্মপুর সাউথ রোডে ৷ ধৃতের নাম রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য ৷ তাঁর বাবা ইন্দুজা স্টুডিয়োজের মালিক ৷ নাম শম্ভুনারায়ণ ভট্টাচার্য । পুলিশের তরফে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তাঁকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন ছেলে, এমনই খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে যায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ ৷ আর তাতেই ঘটে বিপত্তি ৷ পুলিশকে দেখে কাটারি হাতে ছুটে এলেন বৃদ্ধের ছেলে ৷ পুলিশকে তাড়া করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ ৷ যদিও পরে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বাবার সঙ্গে বচসা হয় ছেলের ৷ তারপরেই কাটারি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তিনি । ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের উপর চড়াও হন অভিযুক্ত ৷ পুলিশকে জখম করার পাশাপাশি রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য কলকাতা পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্স একেবারে ভেঙে দেন ।
এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, সম্পত্তিগত বিবাদকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকতো । ছেলে রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য বছরখানেক ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছেন । এলাকার বাসিন্দারা এর আগেও একাধিকবার তাঁদের বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেছেন । তবে রুদ্রনারায়ণ এর আগে এলাকার বাসিন্দাদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদেরও মারধর করেন বলে অভিযোগ ।
এ দিন যখন পুলিশ ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করতে আসে, সেই সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাতে একটি কাটারি নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করতে দেখা গেল রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্যকে । ঘাবড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় পুলিশকে । এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । পরে ওই বৃদ্ধকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করতে সফল হয় পুলিশ । বৃদ্ধকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
বাঁশদ্রোণীর ঘটনা নিয়ে ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কোলিতা ইটিভি ভারত বলেন, "ছেলের থেকে একটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েই ওই বৃদ্ধকে উদ্ধারে যায় পুলিশ ৷ রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বাবাকে খেতে না দেওয়ার ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ৷"