উত্তরপাড়া, 7 মে: বাড়ির মালিকের বিশেষভাবে সক্ষম 7 বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ভাড়াটিয়া । ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগরে উত্তরপাড়া থানা এলাকায় । নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ভাড়াটিয়াকে ৷ পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে । মঙ্গলবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে অভিযুক্তকে ।
নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় সরব হন শ্রীরামপুরের বিজেপির প্রার্থী কবীর শংকর বসু ৷ তাঁর নেতৃত্বে এ দিন কোন্নগর ফাঁড়ি ঘেরাও করে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা ৷ তাঁদের দাবি, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুলিশ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হোক ৷ শ্রীরামপুরের বিজেপির প্রার্থী কবীর শংকর বসুর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গে শিশু ও মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে । কোন্নগরের ঘটনা এর অন্যথা নয় । আমি নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করব এবং পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাব ।"
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তি নাবালিকার বাড়িতে ভাড়া থাকেন ৷ অভিযোগ, মা-বাবার অবর্তমানে শিশুটির সঙ্গে ঘৃণ্য কাজ করেছেন তিনি ৷ নাবালিকা অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ তখনই পুরো বিষয়টি সামনে আসে ৷ এরপরেই নাবালিকার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান ৷ তবে অভিযুক্তের এক আইনজীবী তাঁকে ভয় দেখান বলে অভিযোগ । এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা । এরপরেই পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে । স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন । পাড়ায় অভিযুক্তকে থাকতে দিতেও রাজি নন তাঁরা ।
এই ঘটনা নিয়ে কোন্নগর পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, "শিশুর সঙ্গে এ কাণ্ড কেউ করতে পারে । এরা মানসিক বিকারগ্রস্ত । এদের শাস্তির পাশাপাশি চিকিৎসার প্রয়োজন । শোনা গিয়েছে নাবালিকা স্পেশাল চাইল্ড । সেই সুযোগেই হয়ত ওই ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে । তবে পুলিশ তদন্ত করুক । যে দোষী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন ।" স্থানীয় সুবল ঘোষের দাবি, "অভিযুক্তের ব্যবসা আছে । সে ভাড়া বাড়িতেই থাকে । তাঁর সন্তান আছে । তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ এদের পাড়ায় রাখা উচিত নয় ।"
আরও পড়ুম: