কলকাতা, 5 অগস্ট: একদিকে ভরা কোটাল, অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জল । এই দুইয়ের জেরে বানভাসি হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বাংলা । মঙ্গলবার অমাবস্যার ভরা কোটাল রয়েছে । আগেই নবান্নের তরফ থেকে দফায় দফায় যেখানে বানভাসি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন এলাকায় জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল রাজ্য ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বারংবার কথা বলেছেন । বোঝার চেষ্টা করেছেন বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে সামগ্রিক পরিস্থিতি কেমন । কিন্তু রাজ্য প্রশাসনকে যথেষ্ট চিন্তায় রাখছে মঙ্গলের ভরা কোটাল এবং ডিভিসির ছাড়া জল । এই অবস্থায় রাজ্য বিধানসভায় হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তেনুঘাট ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকে জল ছাড়া হয়েছে । তাতে প্লাবিত হতে পারে হুগলি, হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ ৷ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওইসব এলাকাগুলোতে নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী । ওইসব জেলার জেলাশাসক ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি ।
মঙ্গলবার সকাল আটটার মধ্যে হাওড়া ও হুগলির বিরাট অংশে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে । তাই মন্ত্রী পুলক রায়-সহ ওই সব এলাকার মন্ত্রী বিধায়কদের এলাকায় থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বলেছেন ।
প্রসঙ্গত, গতকালই এই বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । যতদূর জানা যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের জলে যে পশ্চিমবঙ্গের এই অবস্থা হয় সে কথা আদৌ জানতেন না সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সব দিক দেখার আশ্বাস দিয়েছেন । এদিকে শনিবারের তুলনায় রবিবার ডিভিসি থেকে ছাড়া জলের পরিমাণও কিছুটা কমেছে । তবে গতকাল যে জল ছাড়া হয়েছে সেগুলি আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার উদয়নারায়ণপুর ও ঘাটাল-সহ এই সব এলাকায় এসে পৌঁছবে ৷ তার উপর ভরা কোটালের জল যুক্ত হলে ওই এলাকার অবস্থা কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী ।