আলিপুরদুয়ার, 1 এপ্রিল: আলিপুরদুয়ারে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ হেলিকপ্টারে কিছুটা 'রিস্ক' নিয়েই তিনি আলিপুরদুয়ারে গিয়েছেন বলে জানালেন ৷ সঠিক উদ্যোগে যেভাবে উদ্ধারকাজ চলেছে, সে রকমভাবে যথাযথভাবে দুর্গতদের হাতে সাহায্য তুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷
জেলার এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণ কামসিং পূর্ব পাড়া ও ঘরঘড়িয়া তপসিখাতা-সহ বিভিন্ন এলাকায় গতকালের ঝড়ে প্রবল ক্ষতি হয়েছে ৷ এলাকার অনেক কৃষকের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, বিঘার পর বিঘা ভুট্টা নষ্ট হয়েছে । প্রচুর বাসিন্দার ঘড়বাড়ি ক্ষতি হয়েছে, অনেকেই বর্তমান গৃহহীন । বর্তমানে কোথায় থাকবে এই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বাসিন্দারা । জলপাইগুড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে পৌঁছতেই তাঁর কাছে সব কথা তুলে ধরেন দুর্গতরা ৷ তাঁরা বলেন, কয়েকশো বাসিন্দা বর্তমানে গৃহহীন । বর্তমানে তাঁরা নিঃস্ব । অনেকে জানান, তাঁরা গতকাল থেকে কিছুই খাননি ।
সবার সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজ আলিপুরদুয়ারে এসেছি ৷ এখানে অনেক বেশি হয়েছে ৷ আমি মা-ভাইবোনেদের সঙ্গে কথা বললাম ৷ এখানে অনেক বাচ্চারাও আছে ৷ তাঁদের সবার সঙ্গে দেখা করলাম ৷ তাঁদের একটাই কথা ৷ তাঁদের সবটাই এখানে ভেঙে গিয়েছে ৷ সুতরাং আমি প্রশাসনকে বলব, সঠিক উদ্যোগে যেমন উদ্ধারকাজ করেছেন, সে রকমই সঠিক উদ্যোগে তাঁদের হাতে প্রশাসনিক সাহায্যও তুলে দেবেন ৷ সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ ৷ তাঁদের সহযোগিতার জন্য ৷ আপনারা সবসময় বঞ্চিতদের পাশে থাকবেন, এটাই আমার অনুরোধ ৷"
তিনি আজ একটু ঝুঁকি নিয়েই আলিপুরদুয়ারে গিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলেন, "আজ যেটা সমস্যা হয়েছে, যে হেলিতে এসেছি, সেটা কলকাতা থেকে ট্র্যাভেল করে এসেছে ৷ ওরা একদিনে 3 ঘণ্টার বেশি একদিনে ট্র্যাভেল করতে পারে না ৷ তবুও আমি রিস্ক নিয়ে এসেছি, কারণ আমাকে আলিপুরদুয়ার আসতেই হত ৷ আমি দেখা করে গেলাম সবার সঙ্গে ৷"
দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকায় দলের বিধায়ক ও অন্যান্য নেতাদের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, আগামিকাল কুমারগ্রামের পরিস্থিতি দেখতে তিনি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে পাঠাচ্ছেন ৷ সেখানকার ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখবেন অরূপ ৷ কোচবিহারেও ঝড়ে দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মমতা ৷ তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে ফোন করে কী বলেছেন, এই প্রশ্ন করা হলেও তার জবাব দেননি মুখ্যমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: