ETV Bharat / state

সীমান্ত সমস্যা মেটানোর দায় বিএসএফের ! জঙ্গিদের 'ঘুঘুর বাসা' ভাঙতে স্থানীয়দের বার্তা মমতার - MAMATA BANERJEE AT MALDA

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যে কোনও সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব কেন্দ্রের কাঁধেই চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এনিয়ে মানুষকে সতর্ক করলেন তিনি ৷

ETV BHARAT
জঙ্গিদের 'ঘুঘুর বাসা' ভাঙার বার্তা মমতার (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 21, 2025, 3:20 PM IST

মালদা, 21 জানুয়ারি: বাংলাদেশের সঙ্গে যে কোনও ধরনের ঝামেলা মেটানোর দায় কার্যত কেন্দ্রের কাঁধেই চাপিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার মালদা জেলার প্রশাসনিক সভায় তিনি সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন ৷ সীমান্তে কোনও ঝামেলা হলে এলাকার মানুষজন যেন সেদিকে না-যান, তার জন্য রাজ্যবাসীকে তিনি সতর্ক করেছেন ৷ একইসঙ্গে, কোনও হোটেল কিংবা বাড়িতে যেন সমাজবিরোধী কিংবা জঙ্গিরা বাসা বাঁধতে না পারে, সেবিষয়েও সতর্ক করেন তিনি ৷

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "কেউ যেন আমরা দাঙ্গা না-করি ৷ ওপার বাংলায় একটু প্রবলেম হচ্ছে ৷ কিন্তু বিএসএফের সঙ্গে ৷ বর্ডার দেখার দায়িত্ব বিএসএফের ৷ যদি কোনও অন্যায় হয়, আমরা দেখে নেব ৷ কিন্তু মনে রাখবেন, বিএসএফের সঙ্গে যদি ওদের বচসা হয়, আপনারা গ্রামের লোকেরা সেখানে যাবেন না ৷ আর পুলিশকে বলব, মাইক্রোফোনে অ্যানাউন্স করে বলবেন যে, আমাদের ইন্ডিয়ান লোকেরা এপারে চলে আসুন ৷ বাদবাকিটা প্রশাসন দেখে নেবে ৷ আমি বিশ্বাস করি, হয়তো একদিন আমাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে ৷ কিন্তু এটা লক্ষ্য রাখবেন, যেন কোনও সমাজবিরোধী, কোনও জঙ্গি, কারও হোটেলে বা কারও বাড়িতে ভাড়া নেওয়ার নাম করে বাসা বাঁধতে না পারে ৷ কোনও সমাজবিরোধী, তারা যেন ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে ৷ এটা মাথায় রাখবেন ৷ তাহলে সেটা দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, রাজ্যের ক্ষতি ৷ উন্নয়ন তখনই হয়, যখন শান্তি থাকে ৷"

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের সুকদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় পূর্ত ও সড়ক বিভাগ ৷ সেই কাজে বাধা দেয় বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ এবং সেদেশের কিছু মানুষ ৷ স্থগিত হয়ে যায় কাজ ৷ বিজিবির দাবি, যে জমিতে ভারত সরকার বেড়া বসাচ্ছে, সেই জমি বিতর্কিত ৷ ভারতের তরফে সীমান্ত নকশা বিজিবিকে দেখানো হলেও তারা নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে ৷ ফলে এখনও পর্যন্ত সুকদেবপুরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার স্থগিত থাকা কাজ শুরু করা যায়নি ৷

এরই মধ্যে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা কাঁটাতারের ওপারে থাকা ভারতীয় জমির ফসল নষ্ট করতে শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ এনিয়ে কয়েকদিন আগে সুকদেবপুর সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু’দেশের মানুষ ৷ বাংলাদেশিদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজিবির বিরুদ্ধে ৷ সেই ঘটনার পর সীমান্তের বেড়ার কাছাকাছি ভারতীয়দের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিএসএফ ৷ তবে ওপারে থাকা জমির কৃষকদের চাষের কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ তবে শুধু সুকদেবপুর নয়, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশিদের সঙ্গে ভারতীয়দের ঝামেলা বেঁধেছে ৷ এনিয়ে রাজ্য সরকারও চিন্তিত ৷ তা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিষ্কার ৷

জেলাবাসীর অনেকের প্রশ্ন, সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএসএফের হলেও, সীমান্তবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরও ৷ কোনও হোটেল কিংবা বাড়িতে জঙ্গি কিংবা সমাজবিরোধীদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াও পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ৷ পুলিশ নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে কীভাবে বর্ধমান, নদিয়া কিংবা খাস কলকাতায় দুষ্কৃতীরা ঘাঁটি গেড়েছিল ? মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা ৷

মালদা, 21 জানুয়ারি: বাংলাদেশের সঙ্গে যে কোনও ধরনের ঝামেলা মেটানোর দায় কার্যত কেন্দ্রের কাঁধেই চাপিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার মালদা জেলার প্রশাসনিক সভায় তিনি সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন ৷ সীমান্তে কোনও ঝামেলা হলে এলাকার মানুষজন যেন সেদিকে না-যান, তার জন্য রাজ্যবাসীকে তিনি সতর্ক করেছেন ৷ একইসঙ্গে, কোনও হোটেল কিংবা বাড়িতে যেন সমাজবিরোধী কিংবা জঙ্গিরা বাসা বাঁধতে না পারে, সেবিষয়েও সতর্ক করেন তিনি ৷

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "কেউ যেন আমরা দাঙ্গা না-করি ৷ ওপার বাংলায় একটু প্রবলেম হচ্ছে ৷ কিন্তু বিএসএফের সঙ্গে ৷ বর্ডার দেখার দায়িত্ব বিএসএফের ৷ যদি কোনও অন্যায় হয়, আমরা দেখে নেব ৷ কিন্তু মনে রাখবেন, বিএসএফের সঙ্গে যদি ওদের বচসা হয়, আপনারা গ্রামের লোকেরা সেখানে যাবেন না ৷ আর পুলিশকে বলব, মাইক্রোফোনে অ্যানাউন্স করে বলবেন যে, আমাদের ইন্ডিয়ান লোকেরা এপারে চলে আসুন ৷ বাদবাকিটা প্রশাসন দেখে নেবে ৷ আমি বিশ্বাস করি, হয়তো একদিন আমাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে ৷ কিন্তু এটা লক্ষ্য রাখবেন, যেন কোনও সমাজবিরোধী, কোনও জঙ্গি, কারও হোটেলে বা কারও বাড়িতে ভাড়া নেওয়ার নাম করে বাসা বাঁধতে না পারে ৷ কোনও সমাজবিরোধী, তারা যেন ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে ৷ এটা মাথায় রাখবেন ৷ তাহলে সেটা দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, রাজ্যের ক্ষতি ৷ উন্নয়ন তখনই হয়, যখন শান্তি থাকে ৷"

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের সুকদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় পূর্ত ও সড়ক বিভাগ ৷ সেই কাজে বাধা দেয় বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ এবং সেদেশের কিছু মানুষ ৷ স্থগিত হয়ে যায় কাজ ৷ বিজিবির দাবি, যে জমিতে ভারত সরকার বেড়া বসাচ্ছে, সেই জমি বিতর্কিত ৷ ভারতের তরফে সীমান্ত নকশা বিজিবিকে দেখানো হলেও তারা নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে ৷ ফলে এখনও পর্যন্ত সুকদেবপুরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার স্থগিত থাকা কাজ শুরু করা যায়নি ৷

এরই মধ্যে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা কাঁটাতারের ওপারে থাকা ভারতীয় জমির ফসল নষ্ট করতে শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ এনিয়ে কয়েকদিন আগে সুকদেবপুর সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু’দেশের মানুষ ৷ বাংলাদেশিদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজিবির বিরুদ্ধে ৷ সেই ঘটনার পর সীমান্তের বেড়ার কাছাকাছি ভারতীয়দের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিএসএফ ৷ তবে ওপারে থাকা জমির কৃষকদের চাষের কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ তবে শুধু সুকদেবপুর নয়, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশিদের সঙ্গে ভারতীয়দের ঝামেলা বেঁধেছে ৷ এনিয়ে রাজ্য সরকারও চিন্তিত ৷ তা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিষ্কার ৷

জেলাবাসীর অনেকের প্রশ্ন, সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএসএফের হলেও, সীমান্তবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরও ৷ কোনও হোটেল কিংবা বাড়িতে জঙ্গি কিংবা সমাজবিরোধীদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াও পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ৷ পুলিশ নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে কীভাবে বর্ধমান, নদিয়া কিংবা খাস কলকাতায় দুষ্কৃতীরা ঘাঁটি গেড়েছিল ? মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.