কলকাতা, 20 জুন: মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগরের পুলিশ । মহানগর কলকাতা এবং বিধাননগরে একের পর এক সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে । এই অবস্থায় কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ ? বৃহস্পতিবার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষোভপ্রকাশের কিছুক্ষণ পরই বদলি করা হল বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার আইপিএস গৌরব শর্মাকে ৷
প্রসঙ্গত, গত 11 তারিখের পর আজ দ্বিতীয়বার লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রায় 45 মিনিট এই বৈঠক চলে । সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় । অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এদিন আলোচনায় জমি ছিল অন্যতম প্রধান বিবেচনার বিষয় । এখানেই সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাওয়া নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় সমালোচনার সুর শোনা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় । যদিও এদিন সরাসরি কেউ এই পর্যালোচনা বৈঠক নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ।
তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শহর কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল হয়ে যাচ্ছে । এক্ষেত্রে পুলিশি উদাসীনতা রয়েছে । জানা গিয়েছে, এদিন এই জমি দখল নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ৷ এই জমি দখল নিয়ে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা কী, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী ।
একা কলকাতার পুলিশ কমিশনার নন, এদিন সরকারি জমি বেহাত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারও । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একই অভিযোগ উঠছে কলকাতার পাশাপাশি সল্টলেকেও । এক্ষেত্রে পুলিশ কী করছে ! তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন যখন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রশ্ন করছিলেন, তখন সশরীরে নবান্নে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল । এই প্রশ্ন যখন তাঁকে করা হয় স্বভাবতই কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে ।
কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন ৷ সেখানেও জমি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী । বিশেষ করে সে সময় তিনি সরব হয়েছিলেন হিডকোর জমি নিয়ে । সরাসরি প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি । এবারও মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও সেই জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়েই ক্ষোভ শোনা গেল ।