ETV Bharat / state

অধ্যক্ষরাই চেয়ারম্যান, সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী - Mamata Meets Junior Doctors

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 14, 2024, 2:37 PM IST

Mamata Banerjee Dissolves Patients' Welfare Associations: রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সঙ্গে এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতিতে চিকিৎসক, জুনিয়র ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা ৷

Mamata Banerjee Dissolves Patients' Welfare Associations
সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ (ইটিভি ভারত)

বিধাননগর, 14 সেপ্টেম্বর: রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে এবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষরাই কাজ করবেন ৷ সঙ্গে চিকিৎসক, জুনিয়র ডাক্তার, নার্সদের প্রতিনিধিরাও থাকবেন রোগী কল্যাণ সমিতিতে ৷ এতদিন সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হতেন, স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক ও জেলাশাসকরা ৷ সেই কাঠামো এবার ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছি ৷ শুধু আরজি কর নয়, সমস্ত হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৷ এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির মাথায় বসবেন হাসপাতালের প্রিন্সিপালরা ৷ তাঁরা ছাড়াও থাকবেন জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের প্রতিনিধি ৷ থাকবে পুলিশ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা ৷ সবাইকে নিয়ে নয়া রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করা হবে ৷"

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷ বিভিন্ন সময়ে রোগী কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানান অভিযোগ উঠেছে ৷ এ নিয়ে একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে ৷ এমনকি স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে ৷ যা নিয়ে মমতা দাবি করেছেন, তিনি এই বিষয়গুলি দেখেন না ৷ এমনকি বিভিন্ন যে টেন্ডার পাশ হয়, তা তাঁর কাছে আসে না ৷ তাই এই দুর্নীতিগুলি রুখতে তিনি সব সরকারি হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছেন ৷

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ৷ প্রথমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর 4 সদস্যের কমিটি তৈরি করে তদন্ত শুরু করেছিল ৷ পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত শুরু করে ৷ যে তদন্তে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ যেখানে ওষুধ, মেডিক্যালের সরঞ্জাম ও মেডিক্যাল বর্জ্যের দুর্নীতির বিষয়গুলি উঠে আসে ৷ এই মামলায় পরবর্তী সময়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও তদন্ত শুরু করেছে ৷

বিধাননগর, 14 সেপ্টেম্বর: রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে এবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষরাই কাজ করবেন ৷ সঙ্গে চিকিৎসক, জুনিয়র ডাক্তার, নার্সদের প্রতিনিধিরাও থাকবেন রোগী কল্যাণ সমিতিতে ৷ এতদিন সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হতেন, স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক ও জেলাশাসকরা ৷ সেই কাঠামো এবার ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছি ৷ শুধু আরজি কর নয়, সমস্ত হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৷ এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির মাথায় বসবেন হাসপাতালের প্রিন্সিপালরা ৷ তাঁরা ছাড়াও থাকবেন জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের প্রতিনিধি ৷ থাকবে পুলিশ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা ৷ সবাইকে নিয়ে নয়া রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করা হবে ৷"

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷ বিভিন্ন সময়ে রোগী কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানান অভিযোগ উঠেছে ৷ এ নিয়ে একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে ৷ এমনকি স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে ৷ যা নিয়ে মমতা দাবি করেছেন, তিনি এই বিষয়গুলি দেখেন না ৷ এমনকি বিভিন্ন যে টেন্ডার পাশ হয়, তা তাঁর কাছে আসে না ৷ তাই এই দুর্নীতিগুলি রুখতে তিনি সব সরকারি হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছেন ৷

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ৷ প্রথমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর 4 সদস্যের কমিটি তৈরি করে তদন্ত শুরু করেছিল ৷ পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত শুরু করে ৷ যে তদন্তে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ যেখানে ওষুধ, মেডিক্যালের সরঞ্জাম ও মেডিক্যাল বর্জ্যের দুর্নীতির বিষয়গুলি উঠে আসে ৷ এই মামলায় পরবর্তী সময়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও তদন্ত শুরু করেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.