ETV Bharat / state

'মানুষ মেরে হাতের রক্ত মোছেননি', নাম না-করে দেবাশিসকে নিশানা মমতার - Lok Sabha Election 2024

Mamata Banerjee on Election Campaign: কোচবিহারের মাথাভাঙা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিক মমতা সাফ বলেন, "কেউকে সাপকে বিশ্বাস করতে পারেন, বিজেপিকে নয় ৷"

ETV Bharat
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 4, 2024, 1:09 PM IST

Updated : Apr 4, 2024, 5:42 PM IST

মাথাভাঙা, 4 এপ্রিল: প্রচার মঞ্চ থেকে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় তাঁর সভা ৷ অন্যদিকে এদিনই জেলার রাশমেলার মাঠেই নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "আজ মিটিং করতে আসবে, কত কাঁদবেন দেখবেন, কত কুমীরের অশ্রু ঝরবে ৷" এদিনের সভা থেকে তিনি প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়াকে হিরের টুকরো বলে উল্লেখ করেন ৷

এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি মানে না ৷ ওটা ওদের ঘরবাড়ি ৷ যাঁর বিয়ে, তিনি নিজেই পুরোহিত ৷ ওদিকে কেউ তাকিয়ে দেখে না, ওরা মারলেও দোষ নয়, গ্রেফতার করলেও দোষ নয় ৷ এজেন্সি দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছে ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, বিজেপিকে ভোট দাও আর এজেন্সি থেকে মুক্তি পাও ৷ আপনারা, কেউ মাথা নত করবেন না ৷ কারণ ওদের শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন ৷"

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কোচবিহারের শীতলকুচিতেই 5 জনের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় সাসপেন্ড হয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের উচ্চাধিকারিক দেবাশিস ধর ৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী ৷ এদিনের মাথাভাঙার সভা থেকে দেবাশিস ধরের বিজেপি প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শীতলকুচির ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ভুলে গিয়েছেন, শীতলকুচিতে নির্বাচনের সময় লাইনে দাঁড়ানো 5 জনকে গুলি করে মেরেছিল ৷ তাঁর মধ্যে 4 জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, একজন রাজবংশী ভাই ছিল ৷ নির্বাচন চলাকালীনই আমি ছুটে এসেছিলাম ৷ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম ৷ আর যে লোকটির নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছিল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দু'টি ডিপি কেস চলছে ৷ ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি ৷ ভারতের সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে ৷ এরা আইন-কানুন কিছুই মানে না ৷ সে এখন বীরভূমে দাঁড়িয়েছে ৷ শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে, এত মানুষ মেরেও হাতের রক্ত মোছেনি ৷ শীতলকুচি থেকে বীরভূমে গিয়েছে ৷ সে বলছে, 'আমি ওখানে এসডিপিও' ছিলাম ৷"

তিনি আরও বলেন, "আমার কোনও অধিকার নেই দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেব ৷ আমরা রাজ্য সরকার অবজেকশন দিয়েছি ৷ দু'টি ডিপি কেস আছে, ভিজিল্যান্স কেস আছে ৷ কেন্দ্রে যে সরকার আছে তারা কোনও আইন, সংবিধান মানে কি না, জানিনা ৷ ওদের একটাই আইন আছে, ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি ৷ আর নির্বাচন এলেই ভাঁওতা দেওয়া ৷" এরপরেই আসে কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রসঙ্গে ৷ নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ বাবুরা এখানে আসবে ৷ দেখবেন কত কাঁদবে, কত কুমিরের অশ্রু ঝরবে ৷"

এদিনও মমতার বক্তৃতায় বাদ যায়নি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, মনরেগার টাকার প্রসঙ্গ ৷ তিনি জানান, 11 লক্ষ ডেটা দিলেও কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা দেয়নি ৷ একশো দিনের কাজে বাংলা প্রথম ছিল ৷ রাস্তার কাজেও বাংলা প্রথম ছিল ৷ এখন নির্বাচনের সময় বিজেপি পার্টি অফিস থেকে ওই ডেটার ফোন নম্বর নিয়ে ফোন করছে ৷ তারা বলছে, "আপনার বাড়ি চাই ? আবার আবেদন করুন ৷ আমরা বাজেটে বলেছি, মে মাসের পরে আমরা বাড়ি করে দেব ৷ আমরা কারও দয়া-ভিক্ষা চাই না ৷"

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একশো দিনের কাজের টাকা বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে ৷ এখানে মমতা বকেয়া টাকা না-পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে বলেন, "আরে টাকাই তো দিস না! তোমাদের 7 টাকা বাড়ানোর দরকার নেই ৷ যা বাড়ানোর আমিই করব ৷ কিন্তু এখন বলতে পারছি না ৷"

লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা, জেলাশাসকদের বদলি করা হয়েছে ৷ এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কথা তোলেন মমতা ৷ তিনি বলেন, "সব এজেন্সি কাজে লাগাচ্ছে ৷ রাজ্য সরকারি অফিসারদের ট্রান্সফার করছে ৷ আর তোমাদের যাঁরা এনআইএ-র নামে, সিবিআই-এর নামে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাঁদের ক'জন ট্রান্সফার হয়েছে ? তাঁদের ক'জনের বিরুদ্ধে শাস্তি হয়েছে, আমি জানতে চাই ৷ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ ৷ আমি থাকাকালীন কারও ক্ষমতা নেই, বাংলার মানুষের গায়ে হাত দেবে ৷"

11 মার্চ সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার এর বিরোধিতা করেছেন ৷ এদিনের সভাতেও তিনি বললেন, "ক্যা হচ্ছে মাছের মাথা, আর এনআরসি হচ্ছে ল্যাজা ৷ পুরোহিত কী করে জানবেন, বাংলাদেশ থেকে তাঁর বাবা-মায়ের সার্টিফিকেট আনতে হবে ৷ নাম লেখাবেন আর বাংলাদেশি হয়ে যাবেন ৷ আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না, আপনি কন্যাশ্রী পাবেন না, আপনার সরকারি অধিকার থাকবে না ৷ আপনার নাগরিকত্ব থাকবে না ৷ এবার এটা ভালো না খারাপ, বুঝে নিন ৷ ডিটেনশন ক্যাম্প করে রেখে দেবে ৷ সেখানে বিদেশি বলে চিহ্নিত করবে ৷"

নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের দিন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সব রাজনৈতিক দলের সমান অধিকারের উপর জোর দিয়েছিলেন ৷ তবে তা হবে না বলেই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ মমতা এদিন বলেন, "2014 সালে যে দিন থেকে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, সেদিন থেকে বাংলার উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার করেছে ৷ বাংলাকে মানে না, বাংলায় টাকা দেয় না ৷ 2019 সাল থেকে এই পাঁচ বছরে 6 লক্ষ 50 হাজার কোটি টাকা রাজস্ব নিয়ে গিয়েছে ৷ আর আমাদের 1 লক্ষ 80 হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে ৷ নির্বাচন কমিশন ওদের লোক বলে যা ইচ্ছে তাই বলবে, এটা হতে পারে না ৷ আমি নির্বাচন কমিশনকে বিনীত অনুরোধ করব, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে ৷ দয়া করে দেখুন বিজেপির লোকেরা কীভাবে গুন্ডামি করছে ৷ আমি বলব, বিএসএফের নামে সিআইএসএফ, আয়কর, এনআইএ কীভাবে বিজেপির নেতা-কর্মীদের হয়ে কাজ করছে ৷ আর মানুষের উপর অত্যাচার করছে, হয়রান করছে ৷ এভাবে গণতান্ত্রিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না ৷" এদিন তিনি বিজেপিকে বিশ্বাস না-করার পরামর্শ দেন ৷ মমতা বলেন, 'কেউটে সাপকে বিশ্বাস করবেন, বিজেপিকে করবেন না ৷'

আরও পড়ুন:

  1. 'ভোট দিতে দেননি মমতা, এবার বদলা হবে', হুঁশিয়ারী শুভেন্দু অধিকারীর
  2. মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর খারাপ সম্পর্কের কারণ ব্রাত্য়, জানালেন রাজ্য়পাল
  3. ভোটে লিড দিলেই মিলবে বাইক, প্রার্থীর সামনেই উপহার ঘোষণা তৃণমূলের

মাথাভাঙা, 4 এপ্রিল: প্রচার মঞ্চ থেকে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় তাঁর সভা ৷ অন্যদিকে এদিনই জেলার রাশমেলার মাঠেই নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "আজ মিটিং করতে আসবে, কত কাঁদবেন দেখবেন, কত কুমীরের অশ্রু ঝরবে ৷" এদিনের সভা থেকে তিনি প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়াকে হিরের টুকরো বলে উল্লেখ করেন ৷

এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি মানে না ৷ ওটা ওদের ঘরবাড়ি ৷ যাঁর বিয়ে, তিনি নিজেই পুরোহিত ৷ ওদিকে কেউ তাকিয়ে দেখে না, ওরা মারলেও দোষ নয়, গ্রেফতার করলেও দোষ নয় ৷ এজেন্সি দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছে ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, বিজেপিকে ভোট দাও আর এজেন্সি থেকে মুক্তি পাও ৷ আপনারা, কেউ মাথা নত করবেন না ৷ কারণ ওদের শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন ৷"

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কোচবিহারের শীতলকুচিতেই 5 জনের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় সাসপেন্ড হয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের উচ্চাধিকারিক দেবাশিস ধর ৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী ৷ এদিনের মাথাভাঙার সভা থেকে দেবাশিস ধরের বিজেপি প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শীতলকুচির ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ভুলে গিয়েছেন, শীতলকুচিতে নির্বাচনের সময় লাইনে দাঁড়ানো 5 জনকে গুলি করে মেরেছিল ৷ তাঁর মধ্যে 4 জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, একজন রাজবংশী ভাই ছিল ৷ নির্বাচন চলাকালীনই আমি ছুটে এসেছিলাম ৷ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম ৷ আর যে লোকটির নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছিল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দু'টি ডিপি কেস চলছে ৷ ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি ৷ ভারতের সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে ৷ এরা আইন-কানুন কিছুই মানে না ৷ সে এখন বীরভূমে দাঁড়িয়েছে ৷ শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে, এত মানুষ মেরেও হাতের রক্ত মোছেনি ৷ শীতলকুচি থেকে বীরভূমে গিয়েছে ৷ সে বলছে, 'আমি ওখানে এসডিপিও' ছিলাম ৷"

তিনি আরও বলেন, "আমার কোনও অধিকার নেই দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেব ৷ আমরা রাজ্য সরকার অবজেকশন দিয়েছি ৷ দু'টি ডিপি কেস আছে, ভিজিল্যান্স কেস আছে ৷ কেন্দ্রে যে সরকার আছে তারা কোনও আইন, সংবিধান মানে কি না, জানিনা ৷ ওদের একটাই আইন আছে, ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি ৷ আর নির্বাচন এলেই ভাঁওতা দেওয়া ৷" এরপরেই আসে কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রসঙ্গে ৷ নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ বাবুরা এখানে আসবে ৷ দেখবেন কত কাঁদবে, কত কুমিরের অশ্রু ঝরবে ৷"

এদিনও মমতার বক্তৃতায় বাদ যায়নি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, মনরেগার টাকার প্রসঙ্গ ৷ তিনি জানান, 11 লক্ষ ডেটা দিলেও কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা দেয়নি ৷ একশো দিনের কাজে বাংলা প্রথম ছিল ৷ রাস্তার কাজেও বাংলা প্রথম ছিল ৷ এখন নির্বাচনের সময় বিজেপি পার্টি অফিস থেকে ওই ডেটার ফোন নম্বর নিয়ে ফোন করছে ৷ তারা বলছে, "আপনার বাড়ি চাই ? আবার আবেদন করুন ৷ আমরা বাজেটে বলেছি, মে মাসের পরে আমরা বাড়ি করে দেব ৷ আমরা কারও দয়া-ভিক্ষা চাই না ৷"

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একশো দিনের কাজের টাকা বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে ৷ এখানে মমতা বকেয়া টাকা না-পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে বলেন, "আরে টাকাই তো দিস না! তোমাদের 7 টাকা বাড়ানোর দরকার নেই ৷ যা বাড়ানোর আমিই করব ৷ কিন্তু এখন বলতে পারছি না ৷"

লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা, জেলাশাসকদের বদলি করা হয়েছে ৷ এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কথা তোলেন মমতা ৷ তিনি বলেন, "সব এজেন্সি কাজে লাগাচ্ছে ৷ রাজ্য সরকারি অফিসারদের ট্রান্সফার করছে ৷ আর তোমাদের যাঁরা এনআইএ-র নামে, সিবিআই-এর নামে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাঁদের ক'জন ট্রান্সফার হয়েছে ? তাঁদের ক'জনের বিরুদ্ধে শাস্তি হয়েছে, আমি জানতে চাই ৷ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ ৷ আমি থাকাকালীন কারও ক্ষমতা নেই, বাংলার মানুষের গায়ে হাত দেবে ৷"

11 মার্চ সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার এর বিরোধিতা করেছেন ৷ এদিনের সভাতেও তিনি বললেন, "ক্যা হচ্ছে মাছের মাথা, আর এনআরসি হচ্ছে ল্যাজা ৷ পুরোহিত কী করে জানবেন, বাংলাদেশ থেকে তাঁর বাবা-মায়ের সার্টিফিকেট আনতে হবে ৷ নাম লেখাবেন আর বাংলাদেশি হয়ে যাবেন ৷ আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না, আপনি কন্যাশ্রী পাবেন না, আপনার সরকারি অধিকার থাকবে না ৷ আপনার নাগরিকত্ব থাকবে না ৷ এবার এটা ভালো না খারাপ, বুঝে নিন ৷ ডিটেনশন ক্যাম্প করে রেখে দেবে ৷ সেখানে বিদেশি বলে চিহ্নিত করবে ৷"

নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের দিন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সব রাজনৈতিক দলের সমান অধিকারের উপর জোর দিয়েছিলেন ৷ তবে তা হবে না বলেই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ মমতা এদিন বলেন, "2014 সালে যে দিন থেকে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, সেদিন থেকে বাংলার উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার করেছে ৷ বাংলাকে মানে না, বাংলায় টাকা দেয় না ৷ 2019 সাল থেকে এই পাঁচ বছরে 6 লক্ষ 50 হাজার কোটি টাকা রাজস্ব নিয়ে গিয়েছে ৷ আর আমাদের 1 লক্ষ 80 হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে ৷ নির্বাচন কমিশন ওদের লোক বলে যা ইচ্ছে তাই বলবে, এটা হতে পারে না ৷ আমি নির্বাচন কমিশনকে বিনীত অনুরোধ করব, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে ৷ দয়া করে দেখুন বিজেপির লোকেরা কীভাবে গুন্ডামি করছে ৷ আমি বলব, বিএসএফের নামে সিআইএসএফ, আয়কর, এনআইএ কীভাবে বিজেপির নেতা-কর্মীদের হয়ে কাজ করছে ৷ আর মানুষের উপর অত্যাচার করছে, হয়রান করছে ৷ এভাবে গণতান্ত্রিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না ৷" এদিন তিনি বিজেপিকে বিশ্বাস না-করার পরামর্শ দেন ৷ মমতা বলেন, 'কেউটে সাপকে বিশ্বাস করবেন, বিজেপিকে করবেন না ৷'

আরও পড়ুন:

  1. 'ভোট দিতে দেননি মমতা, এবার বদলা হবে', হুঁশিয়ারী শুভেন্দু অধিকারীর
  2. মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর খারাপ সম্পর্কের কারণ ব্রাত্য়, জানালেন রাজ্য়পাল
  3. ভোটে লিড দিলেই মিলবে বাইক, প্রার্থীর সামনেই উপহার ঘোষণা তৃণমূলের
Last Updated : Apr 4, 2024, 5:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.