মালদা, 5 সেপ্টেম্বর: আরজি করের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভের নিশানায় যে রাজ্যের শাসকদল, তা বুঝতে বাকি নেই কারও ৷ গতকাল চতুর্থ দফার রাত দখলের কর্মসূচিতে মালদা শহরে তার হাতেগরম প্রমাণও মিলেছে ৷ ভোররাতে কর্মসূচি শেষের পর শহরের পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন প্রতিটি রাস্তায় পড়ে ছিল ঘাসফুলের ঝান্ডা ৷ ভোর হতেই শাসকদলের কর্মীরা সব ঝান্ডা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান ৷
গতকাল রাতে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিবাদ আন্দোলন হলেও তৃণমূলের জেলা সভাপতি এই ঘটনায় বিজেপির হাত দেখতে পাচ্ছেন ৷ শুধু তাই নয়, তাঁর হুঁশিয়ারি, বিজেপি একটি ঝান্ডা ছিঁড়লে, তাঁর দলের কর্মীরা 50 জন গেরুয়া শিবিরের কর্মীর চামড়া ছিঁড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে ৷ তাঁর এই হুঁশিয়ারি উড়িয়ে বিজেপির জেলা সভাপতির পরামর্শ, তাঁরা বরং মানুষের ক্ষোভকে সম্মান জানান ৷
বুধবার সকালে কলকাতা গিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ এই ঘটনা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, "গতকাল বিজেপি মালদা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে একটা মিছিল করেছে ৷ তাদের মিছিল যাওয়ার পরই দেখা যায়, ওই এলাকায় লাগানো তৃণমূলের অসংখ্য পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে ৷ ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এফআইআর করার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি ৷ তা না হলে তৃণমূল কর্মীরা থেমে থাকবে না ৷ একটা পতাকা ছিঁড়লে আমরা 50টা শরীরের চামড়া ছিঁড়ে নিতে পারি ৷"
তৃণমূল নেতার এই হুঁশিয়ারিতে গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "গতকাল মালদা শহরে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে, তাতে কোনও রাজনীতির রং ছিল না ৷ বিজেপি এই ইস্যুতে আন্দোলন করলেও দলীয় পতাকা নিয়ে করছে ৷ গতকাল এই ইস্যুতে আমাদের দলীয় কোনও কর্মসূচিও ছিল না ৷ তৃণমূল নেতাদের বলব, তাঁদের সৌভাগ্য, মানুষের এই ক্ষোভ এখনও পর্যন্ত পতাকার উপর দিয়ে যাচ্ছে ৷ আগামীতে কিন্তু এই ক্ষোভ তৃণমূল নেতাদের উপর আছড়ে পড়বে ৷ তাঁদের রাস্তায় বেরোনো দায় হয়ে যাবে ৷"