ETV Bharat / state

আরও সরকারি অনুষ্ঠান চাই, নিজেদের সম্মেলনে সরব মালদার লোকশিল্পীরা - MALDA FOLK ARTISTS

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 13, 2024, 9:33 PM IST

Malda Folk Artists Conference: জেলা তথ্য দফতরের সহায়তায় লোক সংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন মালদার বহু শিল্পী ৷ সেখানে শিল্পীরা যত বেশি সম্ভব অনুষ্ঠান করতে চান ৷

Malda Folk Artists
মালদার লোকশিল্পী (ইটিভি ভারত)

মালদা, 13 অগস্ট: কেউ সুবিধে পান, কেউ এখনও পাননি ৷ অথচ কিছু সরকারি সুবিধে পাওয়ার দাবি রয়েছে সবার ৷ এসব দাবিদাওয়া নিয়েই মঙ্গলবার মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের সানাউল্লাহ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল মালদা জেলা লোকশিল্পীদের সম্মেলন ৷ জেলা তথ্য দফতরের সহায়তায় লোক সংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বহু শিল্পী ৷ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পীযূষ সালুঙ্খে-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা ৷

মালদার লোকশিল্পীরা আরও বেশি অনুষ্ঠান চান (ইটিভি ভারত)

সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে জেলার প্রখ্যাত বাউল শিল্পী তপন পণ্ডিত বলেন, "মালদা জেলায় প্রায় চার হাজার লোকশিল্পী রয়েছেন ৷ প্রায় প্রত্যেকেরই সরকারি পরিচয়পত্র রয়েছে৷ অধিকাংশই নিয়মিত সরকারি ভাতা পাচ্ছেন ৷ তবে কিছু শিল্পীর সমস্যা রয়েছে ৷ তাঁরা সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ৷ কিন্তু একটি বিষয়ে আমরা সবাই বঞ্চিত ৷ সরকার কথা দিয়েছিল, প্রত্যেক শিল্পীকে মাসে অন্তত চারটি করে অনুষ্ঠান দেওয়া হবে ৷ আমরা সেই কাজ পাচ্ছি না ৷ কোনও মাসে একটি, কোনও মাসে দু'টি কাজ পাওয়া যাচ্ছে ৷ তবে মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা অধিকাংশ শিল্পীই পাচ্ছেন ৷ আমরা চাই যত বেশি সম্ভব অনুষ্ঠান করতে ৷ কারণ, অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই কোনও শিল্পী জীবন্ত থাকেন ৷ সরকারের কাছে আমাদের এটাই আর্জি ৷"

অতিরিক্ত জেলাশাসক পীযূষ সালুঙ্খে বলেন, “আজ জেলার সমস্ত লোকশিল্পীদের নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে ৷ আজকের সম্মেলনে সরকারি সমস্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে কিংবা সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে এই শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন ৷ আরও বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁদের ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা চলছে ৷”

মালদা জেলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতি গম্ভীরা ৷ শুধু জেলা বা রাজ্য নয়, এই লোকশিল্পের প্রসার দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ৷ কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দিন দিন এই শিল্পের গরিমা কমছে ৷ অভিযোগ উঠছে, পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীরা যেভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন, তার ছিটেফোঁটাও পাচ্ছেন না মালদার গম্ভীরা শিল্পীরা ৷ আগে যে শিল্পীরা শুধুমাত্র অনুষ্ঠান করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, এখন পেটের দায়ে তাঁদের কেউ রিকশা চালাচ্ছেন, কেউ বা পরিযায়ী শ্রমিক ৷ যদিও এদিনের সম্মেলনে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ওই শিল্পীরা ৷ তাঁদের ভয়, এতে তাঁরা যেটুকু সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন, সেটাও অধরা থেকে যেতে পারে ৷

মালদা, 13 অগস্ট: কেউ সুবিধে পান, কেউ এখনও পাননি ৷ অথচ কিছু সরকারি সুবিধে পাওয়ার দাবি রয়েছে সবার ৷ এসব দাবিদাওয়া নিয়েই মঙ্গলবার মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের সানাউল্লাহ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল মালদা জেলা লোকশিল্পীদের সম্মেলন ৷ জেলা তথ্য দফতরের সহায়তায় লোক সংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বহু শিল্পী ৷ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পীযূষ সালুঙ্খে-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা ৷

মালদার লোকশিল্পীরা আরও বেশি অনুষ্ঠান চান (ইটিভি ভারত)

সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে জেলার প্রখ্যাত বাউল শিল্পী তপন পণ্ডিত বলেন, "মালদা জেলায় প্রায় চার হাজার লোকশিল্পী রয়েছেন ৷ প্রায় প্রত্যেকেরই সরকারি পরিচয়পত্র রয়েছে৷ অধিকাংশই নিয়মিত সরকারি ভাতা পাচ্ছেন ৷ তবে কিছু শিল্পীর সমস্যা রয়েছে ৷ তাঁরা সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ৷ কিন্তু একটি বিষয়ে আমরা সবাই বঞ্চিত ৷ সরকার কথা দিয়েছিল, প্রত্যেক শিল্পীকে মাসে অন্তত চারটি করে অনুষ্ঠান দেওয়া হবে ৷ আমরা সেই কাজ পাচ্ছি না ৷ কোনও মাসে একটি, কোনও মাসে দু'টি কাজ পাওয়া যাচ্ছে ৷ তবে মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা অধিকাংশ শিল্পীই পাচ্ছেন ৷ আমরা চাই যত বেশি সম্ভব অনুষ্ঠান করতে ৷ কারণ, অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই কোনও শিল্পী জীবন্ত থাকেন ৷ সরকারের কাছে আমাদের এটাই আর্জি ৷"

অতিরিক্ত জেলাশাসক পীযূষ সালুঙ্খে বলেন, “আজ জেলার সমস্ত লোকশিল্পীদের নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে ৷ আজকের সম্মেলনে সরকারি সমস্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে কিংবা সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে এই শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন ৷ আরও বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁদের ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা চলছে ৷”

মালদা জেলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতি গম্ভীরা ৷ শুধু জেলা বা রাজ্য নয়, এই লোকশিল্পের প্রসার দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ৷ কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দিন দিন এই শিল্পের গরিমা কমছে ৷ অভিযোগ উঠছে, পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীরা যেভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন, তার ছিটেফোঁটাও পাচ্ছেন না মালদার গম্ভীরা শিল্পীরা ৷ আগে যে শিল্পীরা শুধুমাত্র অনুষ্ঠান করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, এখন পেটের দায়ে তাঁদের কেউ রিকশা চালাচ্ছেন, কেউ বা পরিযায়ী শ্রমিক ৷ যদিও এদিনের সম্মেলনে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ওই শিল্পীরা ৷ তাঁদের ভয়, এতে তাঁরা যেটুকু সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন, সেটাও অধরা থেকে যেতে পারে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.