ETV Bharat / state

গ্রেফতার বেলঘরিয়া শুটআউট-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, দাবি পুলিশ কমিশনার - Belgharia shootout case - BELGHARIA SHOOTOUT CASE

Belgharia shootout case: 50 দিনের মাথায় বেলঘরিয়া শুটআউট-কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ৷ ঘটনার কিনারা হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন ব‍্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার।

Belgharia shootout case
গ্রেফতার বেলঘরিয়া শুটআউট-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 5, 2024, 10:43 PM IST

ব‍্যারাকপুর, 5 অগস্ট: অবশেষে প্রায় 50 দিনের মাথায় বেলঘরিয়া গুলিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ব‍্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল টিম। ধৃতের নাম উত্তম প্রসাদ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মধ‍্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় বেলঘরিয়া গুলিকাণ্ডের এই শ‍্যুটারকে।

গ্রেফতার বেলঘরিয়া শুটআউট-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত (ইটিভি ভারত)

পুলিশ সূত্রে খবর, বেলঘরিয়ার রথতলায় ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল তাতে শ‍্যুটার হিসেবে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা উত্তমকে কাজে লাগানো হয়েছিল। সেই ব‍্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ছয়টি গুলি চালিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। ঘটনার পরেই উত্তমের সঙ্গে থাকা বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ সিংয়ের আরও এক সঙ্গী ছিল। যে বাইক চালিয়ে এই শ‍্যুটারকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল বিটি রোড ধরে। সোমবার ধৃতকে ব‍্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক উত্তম প্রসাদকে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সোমবার এই বিষয়ে নিজের দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন ব‍্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, "গত 15 জুন বেলঘরিয়ার রথতলায় ব‍্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে আমরা একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করি। এই শুটআউট-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মোট 12 জন। এর মধ্যে আমরা আট জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। বাকি চারজন বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় জেলে রয়েছেন। তাঁদেরও দ্রুত হেফাজতে নেওয়া হবে। এটুকু বলতে পারি এই ঘটনার কিনারা করে ফেলেছি আমরা।"

সাংবাদিক সম্মেলনে ব‍্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, "ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রথমে বিহারের সমস্তিপুর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাঁরা ঘটনার পরের দিনই ব‍্যবসায়ী অজয় মণ্ডলকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আলতাফ রাজা এবং সাহিল কুমার সিং নামে সুবোধের আরও দুই সঙ্গীর হদিস পাওয়া যায়। এই দু'জনই বিহার থেকে দুটি বাইক এবং আগ্নেয়াস্ত্র সহ গুলি নিয়ে এসেছিল রৌশন যাদবের নির্দেশে। রোশন যাদবকেও বিহারের বেউর জেল থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছিল এরাজ্যে। অজয় মণ্ডল ও রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী তাপস ভকত, দুজনকেই সে ফোনে হুমকির দিয়েছিল।" তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে সুবোধ সিংকেও পরবর্তীতে বেউর জেল থেকে ব‍্যারাকপুরে নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

ব‍্যারাকপুর, 5 অগস্ট: অবশেষে প্রায় 50 দিনের মাথায় বেলঘরিয়া গুলিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ব‍্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল টিম। ধৃতের নাম উত্তম প্রসাদ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মধ‍্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় বেলঘরিয়া গুলিকাণ্ডের এই শ‍্যুটারকে।

গ্রেফতার বেলঘরিয়া শুটআউট-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত (ইটিভি ভারত)

পুলিশ সূত্রে খবর, বেলঘরিয়ার রথতলায় ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল তাতে শ‍্যুটার হিসেবে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা উত্তমকে কাজে লাগানো হয়েছিল। সেই ব‍্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ছয়টি গুলি চালিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। ঘটনার পরেই উত্তমের সঙ্গে থাকা বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ সিংয়ের আরও এক সঙ্গী ছিল। যে বাইক চালিয়ে এই শ‍্যুটারকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল বিটি রোড ধরে। সোমবার ধৃতকে ব‍্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক উত্তম প্রসাদকে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সোমবার এই বিষয়ে নিজের দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন ব‍্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, "গত 15 জুন বেলঘরিয়ার রথতলায় ব‍্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে আমরা একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করি। এই শুটআউট-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মোট 12 জন। এর মধ্যে আমরা আট জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। বাকি চারজন বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় জেলে রয়েছেন। তাঁদেরও দ্রুত হেফাজতে নেওয়া হবে। এটুকু বলতে পারি এই ঘটনার কিনারা করে ফেলেছি আমরা।"

সাংবাদিক সম্মেলনে ব‍্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, "ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রথমে বিহারের সমস্তিপুর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাঁরা ঘটনার পরের দিনই ব‍্যবসায়ী অজয় মণ্ডলকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আলতাফ রাজা এবং সাহিল কুমার সিং নামে সুবোধের আরও দুই সঙ্গীর হদিস পাওয়া যায়। এই দু'জনই বিহার থেকে দুটি বাইক এবং আগ্নেয়াস্ত্র সহ গুলি নিয়ে এসেছিল রৌশন যাদবের নির্দেশে। রোশন যাদবকেও বিহারের বেউর জেল থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছিল এরাজ্যে। অজয় মণ্ডল ও রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী তাপস ভকত, দুজনকেই সে ফোনে হুমকির দিয়েছিল।" তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে সুবোধ সিংকেও পরবর্তীতে বেউর জেল থেকে ব‍্যারাকপুরে নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.