কলকাতা, 26 মার্চ: বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিত যাদবপুর । তবে সেই দুর্গে কয়েকবছর হল থাবা বসিয়েছে তৃণমূল ৷ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন মিমি চক্রবর্তী ৷ এবার যাদবপুরে ক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া বামেরা ৷ সেই যাদবপুর এলাকায় প্রচারে গিয়ে বাম ভোটারদের সিপিএমে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানালেন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর এই মন্তব্যের তাঁকে পালটা জবাব দিলেন সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য ।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বলেন, এই এলাকার বাম ভোটারদের প্রতি অনুরোধ তারা ভোট যাতে নষ্ট না করেন । কারণ নরেন্দ্র মোদি জিতে আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন । আমাদের কী ছিল দলের ? তিনটে বিধায়ক ছিল । মানুষ যদি চায় সব হবে । এক সময় দমদম থেকে তপন সিকদার জেতেন । এখন সিপিএম নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ৷ বিধানসভায় নেই । তার আগে 40 বছর কংগ্রেস রাজত্ব করেছে ৷ তারাও বিধানসভায় নেই । মানুষ যাকে সমর্থন করবে সেই জিতবে । মানুষ বোঝে যে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে ।
পালটা সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের কথায়, বিজেপিকে যাদবপুরে কেউ গুরুত্ব দেয় না । ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোট হয় না । তৃণমূলের একটা চেষ্টা আছে বিজেপিকে ভাসিয়ে রাখার । প্রার্থী চয়ন থেকে শুরু করে মেরুকরণ করার চেষ্টা । তৃণমূলের চেষ্টা সত্ত্বেও বিজেপিকে যাদবপুরের ভোটাররা গুরুত্ব দেবে না । তৃণমূলকে যারা হারাতে চান তারা বামেদের ভোট দেবেন ।
যাদবপুর লোকসভায় এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ ৷ অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থী করেছেন নতুন প্রজন্মের মুখ সৃজন ভট্টাচার্যকে । বিজেপি প্রার্থী আবার অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় । আজ সকালে বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে গড়িয়া মোড়ে একটি বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয় । সেখানে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী ।
এদিন অনির্বাণ গাঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "নরেন্দ্র মোদি গত 10 বছর যা কাজ করেছে গোটা দেশ দেখেছে । মানুষ তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান । যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র মানুষ 15 বছর দেখেছেন ৷ যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা নিজেদের স্বার্থ দেখেছেন । মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি ।"
আরও পড়ুন: