কলকাতা, 15 এপ্রিল: সাংবাদ সংস্থা এএনআইকে সদ্য একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তারপরই বিরোধীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা ঝড় ওঠে ৷ ইডি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা ও নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন । ইতিমধ্যে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত 10টি পয়েন্ট উল্লেখ করে টুইট করেছেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের 16টি পয়েন্ট-এর ভিত্তিতে ফ্ল্যাক্ট চেক করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন । সেখানে 'নির্বাচনী বন্ড' নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবি এবং বাস্তবতা নিয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে । সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্টের কারণে সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসেছে । যে সমস্ত সংস্থায় ইডি এবং সিবিআই তল্লাশি চলেছে তারমধ্যে 30টি সংস্থা মোদি সরকারকে 335 কোটি টাকা দিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ।
শুধু তৃণমূল নেতা নয়, সিপিএম নেতা রবিন দেব বলেন, "মোদি আবোল তাবোল বকছেন। ইলেক্টোরাল বন্ডে সব থেকে বেশি টাকা নিয়েছে বিজেপি । আদানি-আম্বানিদের কর্পোরেটকে তুষ্ট করে ফায়দা লুঠেছে । দেশের মানুষের সর্বনাশ করেছে। অস্তিত্ব নেই এমন কোম্পানিও কোটি কোটি টাকা দিয়েছে । কীভাবে দিলো এত টাকা ? ওষুধ কোম্পানিগুলির থেকেও টাকা নিয়েছে । এর ফলে, একলাফে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায় ? যে লুঠের ব্যবস্থা মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি করেছে, তার জন্য তদন্তের প্রয়োজন। কে, কোন সুবিধা থেকে কোটি কোটি দিয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ হওয়া উচিত ।"
তৃণমূল এবং সিপিএমের মতোই রাজ্যের এক কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মোদিজি অনেকগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । তাঁর কোনওটাই বাস্তবায়িত হয়নি । কালো টাকা বন্ধ করবেন বলেছিলেন সেটা হয়নি। আমি, আপনি এমনকি মোদিজির অ্যকাউন্টেও বছরে 15 লাখ টাকা যায়নি। বিনয় মিশ্র, ললিত মোদিরা বিদেশে ঘুরে বেরাচ্ছে । মোদিজি কিছুই করতে পারলেন না । অথচ, তাঁরা কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন । ব্যাংককে দেউলিয়া করেছে। মোদিজি পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে কিছুই বলছেন না কেন ? সাধারণ মানুষ বিজেপির জুমলাবাজি বুঝে গিয়েছে । আর বেশিদিন চলেবে না এইসব ৷ ইলেক্টরাল বন্ডে সব থেকে বেশি টাকা নিয়েছে বিজেপি। সকলেই জানি, মোদিজির স্লোগান 'চান্দা দো ধান্দা লো'। এসবের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে দেশ লড়ছে ।"
আরও পড়ুন: