কলকাতা, 6 মে: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে একটি আসন বেশি পেলেই বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসবে। সোমবার প্রেস ক্লাবে 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ অতীতে রাজ্যে এই ধরনের কথা শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলাতেও, যা নিয়ে কম হইচই হয়নি ৷ এবার একই কথা শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও ৷
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এবার লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বিজেপি একটি আসন বেশি পেলেই বিধানসভা নির্বাচনে এগিয়ে আসবে।" সাংবাদিকদের তরফে পালটা প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি বিজেপি 2026-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের সরকারকে ফেলে দেবে? অথবা অন্যান্য রাজ্যে যেমন হয়েছে, বিজেপি বিধায়কদের ভাঙিয়ে এনে সরকার গঠন করবে? জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমরা কোনও নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার পক্ষপাতি নই। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি না। সরকার যদি নিজে নিজে পড়ে যায়, তাহলে আলাদা বিষয়। যদি ভাইপো-পিসির গণ্ডগোল হয়, আমাদের কী করার আছে!"
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্রে কাকা-ভাইপোর ঝামেলা। আমাদের কী করার আছে! বিজেপি এখানে শুধু শূন্যস্থান পূরণ করছে। সবাই যদি ভাবে তার পরিবারের লোককেই ক্ষমতায় বসাতে হবে, আমি যদি ভাবি আমার মেয়ের যোগ্যতা না থাকলেও প্রফেসর করতে হবে, তাহলে তো অন্যায় করতে হবে।"
এদিন সুকান্ত মজুমদারের প্রত্যেকটা শব্দ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাহলে কী সুকান্ত মজুমদার আশা করছেন রাজ্যে বিজেপির ফল ভালো হলে পিসি-ভাইপোর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসবে? যা পরবর্তীতে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে সহায়ক হবে। যদিও এত দ্রুত কোনও কিছুই বলা সম্ভব নয় ৷ অপেক্ষা শুধু 4 জুনের ৷
আরও পড়ুন
1. তাঁর কাছেই টাকার গুঁড়ি', নয়া প্যারোডিতে মমতাকে নিশানা রুদ্রনীলের
2. মালদায় 60 পিংক বুথ, 5 মডেল বুথে থিম আম-রেশম শিল্প
3. কমল শাহি টার্গেট ! রাজ্যে 35 নয় 30টি আসন জিততে চায় বিজেপি