চন্দননগর, 24 অগস্ট: ‘‘তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ডে এখনও বিচার দিতে পারেনি সিবিআই ।’’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । চন্দননগরে এক অবস্থান বিক্ষোভে এসে পালটা দিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ হুগলির প্রাক্তন সাংসদের কথায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন মেয়ের বাবা বা স্বামী যদি এই ধরনের কথা বলেন, তাহলে ওনাকে বিকৃত মস্তিষ্কই বলা যায় ।
|
শনিবার সন্ধ্যায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চন্দননগর বাসীদের তরফে বাগবাজারে অরাজনৈতিক মঞ্চ করা হয় ৷ বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী ছাড়াও ছিলেন সাধারণ মানুষ । সেখানই আসেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট । বাংলা ছাড়াও একাধিক রাজ্যে এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে ।এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘‘রাজনৈতিকভাবে আমি কথা বলছি না । অসমে কার সরকার, মহারাষ্ট্রে কার সরকার এসব না-ভেবে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য সকলকে একসঙ্গে পথে নামতে হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখছেন । তাহলে উনি এতদিন কী করলেন ?’’ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও করেন লকেট ৷
লকেটের এই মন্তব্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন অসিত মজুমদার । চুঁচুড়ার বিধায়ক বলেন, ‘‘সিবিআইকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেত্রী ।সিবিআই 10 দিনে কী করেছে ? যদি তথ্য-প্রমাণ না পায়, তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে কেস করুক । উনি শুধু শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন কেন ?আমরাও অপরাধীর বিচার চাই । মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন । গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক জায়গায় মহিলারা নির্যাতিতা হচ্ছেন ৷ নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে ৷ লকেট রাজনীতি করছেন ৷’’
অসিতের কটাক্ষ, ‘‘এই ঘটনায় লকেট মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন । কিন্তু তাঁর জানা উচিত, মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিলকিস বানু কেস হয়েছিল ৷ উত্তরপ্রদেশের উন্নাও, হাথরসে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তখন সেখানে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । তাঁরা কী প্রদত্যাগ করেছেন ? এসব রাজনীতি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে কী হবে ৷’’