কোচবিহার, 18 অগস্ট: আপার প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়ার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে টাকা দিয়েছিলেন কালীপদ সেন নামে এক ব্যক্তি ৷ 8 বছর কেটে গেলেও এখনও তিনি চাকরি পাননি ৷ তাই রবিবার ধরনায় বসলেন প্রতারিত ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে ৷ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম মিলন সেন ৷ দিনহাটা-2 ব্লকের আবুতারায় নেতার বাড়ির সামনে পরিবারকে নিয়ে ধরনায় বসেন প্রতারিত ৷
অভিযোগ, আইএনটিটিইউসি-র দিনহাটা-2 ব্লকের সভাপতি মিলন সেন ৷ তাঁকে 2016 সালে 8 লক্ষেরও বেশি টাকা দেওয়া হয়েছিল উচ্চপ্রাথমিকে চাকরির জন্য ৷ তারপর থেকে দীর্ঘ সময় কেটে গেলও মেলেনি চাকরি ৷ মিলন সেনের থেকে একাধিকবার টাকা চেয়েও ফেরত পাননি প্রতারিত ৷ বাধ্য হয়ে এদিন টাকা ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন কালীপদ ৷ প্রতারিত কালীপদ সেন বলেন, "ভাইয়ের আপার প্রাইমারি চাকরি দেওয়ার জন্য 8 লক্ষেরও বেশি টাকা দিয়েছি। চাকরি হয়নি। সামান্য টাকা ফেরত দিয়েছে। এখনও প্রায় 7 লক্ষ টাকা বাকি আছে । সেই টাকার দাবিতেই এদিন ধরনায় বসেছিলাম ৷"
ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিলন সেন বলেন, "গত কয়েকদিন ধরে আমাকে হেয় করার একটা চক্রান্ত চলছে ৷ এতে অঞ্চলের কয়েকজন নেতা ও আবুতারার কয়েকজন জড়িত। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি টাকা নিয়েছি, তবে টাকা ফেরত দেব ৷ রাজনীতিও ছেড়ে দেব ৷" নেতা জানান, আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷ কয়েকদিন ধরে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে ৷ একটি ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই পোস্ট করা হচ্ছে বলে দাবি করে শনিবার সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ।
এরপর রবিবার সকালে তাঁর বাড়ির সামনে ধরনার ঘটনায় হইচই পড়ে যায় ৷ খবর পেয়ে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৷ ধরনায় বসা কালীপদ সেন ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের তুলে দেয় ৷ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সামনে এসেছে ৷ এবার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিলন সেনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠল ৷