শিলিগুড়ি, 12 ফেব্রুয়ারি: অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। বেঙ্গল সাফারি পার্কে আগমন হল পশুরাজ সিংহ আকবর ও সীতার। ত্রিপুরার বিশালগড়ে অবস্থিত সিপাহিজালা জুয়োলজিক্যাল পার্ক থেকে সোমবার রাজ্যের বেঙ্গল সাফারি পার্কে পৌঁছয় পশুরাজ সিংহ দম্পতি। সেইসঙ্গে একজোড়া লেপার্ড ক্যাট ও চশমাবাঁদর বা ম্যাজেস্টিক লাঙ্গুরও আসে। তাই আর দেরি না-করে বেরিয়ে পড়ুন আকবরকে দেখতে ৷ সব মিলিয়ে শীত ফুরিয়ে এলেও আনন্দ কিন্তু ফুরোচ্ছে না।
রাজ্য জু অথোরিটি ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আকবরের জন্ম 2016 সালে। বাবা দুষ্মন্ত ও চিন্ময়ী 2016 সালে সিপাহিজালা চিড়িয়াখানায় তিন শাবকের জন্ম দিয়েছিল। পরে তাদের নামকরণ করা হয়েছিল 70 দশকের অমিতাভ বচ্চন ও ঋষি কাপুরের সিনেমা অমর, আকবর ও অ্যান্টনি। সেই তিন শাবকের মধ্যে আকবরকে বেঙ্গল সাফারি পার্কের জন্য বেছে নেয় সেন্ট্রাল জু অথোরিটি ও রাজ্য জু অথোরিটি। বর্তমানে ওর বয়স সাত বছর। পাশাপাশি ত্রিপুরা চিড়িয়াখানাতেই জন্ম হয় সীতার। তার জন্ম 2018 সালে। এখন সীতার বয়স পাঁচ বছর।
বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসার আগে আকবর ও সীতার একসঙ্গে থাকার অভ্যেস রয়েছে। বেঙ্গল সাফারিতে রয়্যাল বেঙ্গল প্রজননে নজির স্থাপন করেছে। তাই এবার রয়্যাল বেঙ্গলের পর সিংহর প্রজননেও সফলতা আসবে বলে আশাবাদী পার্ক কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, নতুন বছরের শুরুতেই রয়্যাল বেঙ্গল, গণ্ডার, হাতি সাফারির পাশাপাশি পশুরাজ সিংহ'র সাফারি মজা উপভোগ করতে পারবেন পার্কে আসা পর্যটকরা। আর সিংহের আগমনে পার্কে পর্যটকদের আরও ঢল নামবে বলে আশাবাদী পার্ক কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে রাজ্য জু অথোরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, "যত্নের সঙ্গে নিরাপদে সিংহ বেঙ্গল সাফারিতে এদিন পৌঁছে গিয়েছে। পার্কে সদস্য সংখ্যা বাড়ল। প্রাণীগুলো সব সুস্থই রয়েছে। তবে এখন তাদের নাইট শেল্টার ও আলাদা এনক্লোজারে রাখা হবে। এখনই পর্যটকদের জন্য সামনে আনা হবে না ৷ বেঙ্গল সাফারির পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পর তাদের প্রকাশ্যে আনা হবে। "
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণীগুলোর যাতে সড়কপথে বেশি সমস্যা না-হয় সেজন্য গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশু বিশেষজ্ঞ ও পশু চিকিৎসক-সহ বনাধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমে ত্রিপুরা থেকে অসম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একরাত বিশ্রামের পর তাদের এদিন বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে আসা হয়। সিংহ সাফারির জন্য বেঙ্গল সাফারি পার্কে 96 একরের উপর আলাদা এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ থেকে আট কেজি করে মাংস দেওয়া হবে সিংহ দু'টোকে।
আরও পড়ুন: