জলপাইগুড়ি, 9 সেপ্টেম্বর: বানারহাটের আমবাড়ি চা-বাগানে খাঁচা ভেঙে পালিয়ে গেল চিতাবাঘ ৷ সোমবার সকালে আমবাড়ি চা-বাগানের 15 নম্বর সেকশনে পাতা বন দফতরের খাঁচায় সেটি ধরা পড়েছিল ৷ তবে, বন দফতরের কর্মীরা সেখানে পৌঁছনোর আগেই, চিতাবাঘটি খাঁচা ভেঙে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে ৷ পালানোর সময় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আহত করেছে চিতাবাঘটি ৷ তাঁকে বানারহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ৷
সাম্প্রতিক সময়ে তরাই-ডুয়ার্সের চা-বাগানে চিতাবাঘের হামলার ঘটনা বেশ বেড়েছে ৷ সেই কারণ, চা-বাগানগুলিতে টোপ দিয়ে খাঁচা পেতেছে বন দফতর ৷ তেমনই একটি খাঁচা পাতা ছিল বানারহাট ব্লকের আমবাড়ি চা-বাগানের 15 নম্বর সেকশনে ৷ সোমবার সকালে সেই খাঁচায় ধরা পড়ে একটি চিতাবাঘ ৷ চা-বাগান এলাকার বাসিন্দারা চিতাবাঘের গর্জন শুনে খাঁচার কাছে যান ৷ তাঁরা দেখেন খাঁচার ভিতরে একটি চিতাবাঘ বন্দি হয়েছে ৷ স্থানীয়রা বন দফতরে খবর দেন দ্রুত ৷
কিন্তু, এরই মধ্যে চিতাবাঘের খাঁচার সামনে লোকজন ভিড় করতে শুরু করেন ৷ সামনে প্রচুর লোকজন দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চিতাবাঘটি ৷ সে ছটফট করতে শুরু করে ৷ স্থানীয়দের দেওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মিলে খাঁচায় বন্দি চিতাবাঘটিকে উত্যক্ত করতে থাকেন ৷ সেটিকে লাঠি দিয়ে খোঁচাতে থাকেন তাঁরা ৷ এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চিতাবাঘটি ৷ ক্ষিপ্ত চিতাবাঘ খাঁচার দরজায় থাবা বসাতে শুরু করে ৷ যার জেরে লক ভেঙে খাঁচার দরজা খুলে যায় ৷ আর চিতাবাঘটি পালিয়ে যায় ৷
চিতাবাঘটি পালানোর সময় সামনে এক ব্যক্তি চলে আসেন ৷ সেই সময় উজ্জ্বল দাস নামে ওই ব্যক্তিকে আহত করে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি ৷ তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বানারহাট হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা ৷ সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন উজ্জ্বল দাস ৷ তবে, স্থানীয়রা পালটা অভিযোগ করেছেন, খাঁচা দুর্বল থাকায় চিতাবাঘ পালিয়েছে ৷ এ নিয়ে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথ বলেন, "খাঁচাটি দুর্বল ছিল না ৷ খাঁচার গেটটি ঠিকঠাক লাগেনি চিতাবাঘ বন্দি হওয়ার পর ৷ সেই কারণে খাঁচার দরজা খুলে গিয়েছে ৷ খাঁচাটি মেরামত করে, আবার বসানো হবে ৷"