কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: রাজ্য-রাজনীতিতে বামেরা অনেকাংশে অপ্রাসঙ্গিক হলে পড়লেও পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব রেল ও কলকাতা মেট্রো রেলের কর্মী ইউনিয়নের ভোটে উড়ল লাল আবির ৷ 11 বছর পর দেশজুড়ে রেলের স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের নির্বাচনে বামেদের জয়জয়কার ৷
কলকাতা মেট্রো রেলের ভোটে গতবারের মতো এবারও ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাম প্রভাবিত কর্মী সংগঠন মেট্রো রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন বা এমআরএমইউ। পূর্ব রেলের কর্মচারী সমিতির ভোটে আবারও জয়ী হল বাম প্রভাবিত ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন (ইআরএমইউ)। 2013 সালে শেষ বার ভোট হয়েছিল, সেবারও জয়ী হয়েছিল বাম সমর্থিত কর্মী সংগঠন। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে কংগ্রেস প্রভাবিত ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল মেন্স ইউনিয়ন 38 শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। পূর্ব রেলের ক্ষেত্রে 42 শতাংশ পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ইআরএমইউ ৷ 39 শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে কংগ্রেস প্রভাবিত ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস। বিজেপি সমর্থিত সংগঠন পেয়েছে 6.55 শতাংশ ভোট। তৃণমূল অনুমোদিত সংগঠন পেয়েছে 6.20 শতাংশ ভোট।
কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়, এবারের নির্বাচনে মোট চারটি কর্মী সংগঠন অংশ নিয়েছিল। মোট 3 হাজার 303 জন কর্মী ভোট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। জয়ী হয়েছে মেট্রো রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন।
দেশজুড়ে 11 বছর পর রেলের মোট 17টি জোনে ভোট হয়েছে। ভোট হয়েছে সিক্রেট ব্যালটের মাধ্যমে। শুধুমাত্র কলকাতা মেট্রো রেলে ভোট হয়েছে ইভিএমে। গত 4, 5 ও 6 ডিসেম্বর স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়ন নির্বাচন হয়েছিল। কলকাতা মেট্রোয় নির্বাচন হয়েছিল 4 ও 5 ডিসেম্বর। অরাজনৈতিক হলেও সবক'টি ট্রেন ইউনিয়নই কোন না কোনও রাজনৈতিক দলের অনুমোদিত।
রেলে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল 2013 সালে। পূর্ব রেলে জয়ী হয়েছিল ইস্টার্ন রেলওয়েস মেন্স ইউনিয়ন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের ক্ষেত্রে দুটি ইউনিয়ন স্বীকৃতি পায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস। আর কলকাতা মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে জয়ী হয়েছিল বাম অনুমোদিত মেট্রো রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন।
এই মুহূর্তে রাজ্য-রাজনীতিতে ভোট বাক্সে দাগ কাটতে ব্যর্থ বামেরা ৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসন পায়নি বামেরা ৷ চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনেও মানুষের সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হয় তারা ৷ কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা করেও কোনও আসন জিততে পারেননি বামেরা ৷ সেদিক থেকে রেলের কর্মী ইউনিয়নের বামেদের এই জয় লাল শিবিরে অক্সিজেন জোগাতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷