কলকাতা, 18 জুন: চোখের জলে বিদায় নিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত রেলকর্মী শঙ্কর মোহন দাস ৷ সকাল থেকেই তাঁর কলকাতার ফুলবাগানের বাড়ির সামনে প্রতিবেশী লোকজনের ভিড় জমতে থাকে। গতকাল তাঁর দেহ আনতে উত্তরবঙ্গের পথে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা ৷ মঙ্গলবার দুপুরে শঙ্করবাবুর দেহ এসে পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে ৷ কলকাতার মেয়র এদিন তাঁকে ফুলেরমালায় বিদায় জানান ৷ পাশাপাশি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এদিন মৃত রেলকর্মীকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন মানিকতলা বিধানসভায় উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুক্তি পাণ্ডে ৷ ছিলেন সিপিএম নেতা রাজীব বিশ্বাস-সহ অন্যান্যরা। তাঁকে এদিন শেষ শ্রদ্ধা জানান, সহকর্মী থেকে ডাকঘর বিভাগের আধিকারিকরাও। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে পরিবারের লোকজনদের কান্নায় চিরবিদায় নিলেন তিনি ৷ কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম এদিন রেলকে কাঠগড়ায় তুলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ৷
ফিরহাদ হাকিম বলেন, "গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অভিভাবকহীন রেল ৷ আলাদা কোনও বাজেট নেই। এখনও পর্যন্ত অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস লাগানো হল না। কত মানুষের প্রাণ গেলে মোদি সরকারের তৃপ্তি হবে? প্রতিবছর এই একই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দশ বছরেও করা গেল না অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস।"
তিনি আরও বলেন, "রেলে 10 লক্ষ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। আর এই কেন্দ্রীয় সরকার দুর্ঘটনা হলে শুধু বাহানা করে। বেসরকারিকরণ করার চক্করে রিক্রুটমেন্ট করছে না ৷ যাতে আদানি সাহেবদের অসুবিধা না-হয়। সব বিক্রি করে দেবে ৷ আর তার জন্য মানুষের প্রাণ যাবে।" বাড়ি থেকে স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয় শঙ্করবাবুকে ৷ সেখান থেকে তাঁকে শেষকৃত্যের জন্য নিমতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে ৷