দুর্গাপুর, 3 অগস্ট: খনি অঞ্চলে নামল ধস। আতঙ্ক গ্রাস করছে এলাকাবাসীদের। পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের নব কাজোড়া কোলিয়ারী সংলগ্ন এলাকায় ধস নামে ৷ যদিও শুক্রবার সেই ধস নামলেও গতকাল রাতে সেই তা আরও বড় আকার নেয়। সেই ধসের কবলে পড়ে বেশ কয়েকটি গাছ। শনিবার সকাল থেকে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে যায় ব্যাপক আতঙ্ক। যদিও, ইসিএল কর্তৃপক্ষ ধস কবলিত এলাকা ব্যারিকেড করে দেয়।
সূত্রের খবর, কিছু কিছু জায়গায় বেআইনিভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে কয়লা। বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের পর ফাঁকা অংশে বালি ভরা হচ্ছে না। সেই জন্য বৃষ্টি হলেই ধসের ঘটনা ঘটছে। এলাকার বাসিন্দা সর্বন কুমার পাশওয়ান বলেন, "কয়লা উত্তোলনের পর ভালো করে বালি ভরা দিয়ে ফাঁকা অংশ ভরাট না-করার জন্য এভাবে ধস নামছে। আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ধস আরও বাড়লে এলাকায় বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে।"
নব কাজোড়া কোলিয়ারির নিরাপত্তা আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, "এখানকার নিরাপত্তা বেশ ভালো। কোথাও কোথাও বেআইনিভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে কয়লা। সেই জন্য এধরনের ঘটনা ঘটছে। তবে আমাদের নজরদারি জোরদার চলছে। এই এলাকাতে ধস কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বালি দিয়ে ভরাট করার কাজ চলছে।"
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে ৷ আগামী 24 ঘণ্টায় সেটি পুরোপুরি ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাবে ৷ ইতিমধ্য়েই সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। তাই গত দু'দিনের মতো আজ আগামী সাতদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে বিক্ষিপ্ত থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাসছে উত্তরের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড থেকে দক্ষিণের কেরল ও পশ্চিমের মহারাষ্ট্র থেকে গোয়া ৷ বাংলার ছবিটাও প্রায় একই ৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমের জেলাগুলি ভাসছে অতিবৃষ্টিতে ৷