কলকাতা, 22 জুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই কাজ শুরু। কোথায় কোথায় জমি দখল হয়েছে, এবার তার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে কলকাতার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
নবান্নের বৈঠকে জমি দখল হওয়া নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপরই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, পুলিশ কমিশনারের সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নিজের থানা এলাকায় কোন কোন জায়গায় সরকারি জমি থেকে শুরু করে সাধারণ জমি জবরদখল করা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য বানিয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দিতে হবে ৷ নিজেদের এলাকার ডিসি অফিসে এই নথি জমা দিয়ে বলা হয়েছে সব থানাকে ৷ ডিভিশনাল ডিসি'রা সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তারপর চূড়ান্ত রিপোর্ট পাঠাবে লালবাজারে ৷ কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে আসার পর সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবে পুলিশ ৷
তবে লালবাজারের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলার তরফ থেকে রাজ্য পুলিশের প্রতিটি থানায় এবং বিভিন্ন কমিশনারেটের কমিশনারদের এই জমি সংক্রান্ত রিপোর্ট ভবানী ভবনে জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের প্রশাসনিক মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি'র উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পুলিশের সোর্স নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় জমি জবরদখল করা হচ্ছে। পুলিশ টেরও পাচ্ছে না !"
এরপরেই বিধান নগরের নগরপাল গৌরব শর্মাকে উদ্দেশ্য করেও ওই একই কথা বলেন ৷ এরপরেই দেখা যায় বিধান নগরের নগরপাল গৌরব শর্মাকে সরিয়ে দিয়ে তার জায়গায় আনা হয় আইপিএস মুকেশ কুমারকে ৷ আইপিএস গৌরব শর্মার পাশাপাশি একসঙ্গে বদলি করা হয় আরও বেশ কয়েকজন আইপিএসকে ৷ তবে এইগুলি তিনি বদলি ছাড়া আর কিছুই না বলে নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়।