কলকাতা, 21 নভেম্বর: সরশুনায় ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দু’জনকে পাকড়াও করল লালবাজার ৷ ধৃতরা হলেন মনিরুল ইসলাম এবং মনসুর ইসলাম ৷
শনিবার তাঁদের আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করা হয়েছে । পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ৷ তাঁদের জেরা করে এই ট্যাব-কাণ্ডে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তার সন্ধান পেতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের সিআইডির পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও তদন্তে নেমেছে । রাজ্যের একাধিক থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের বেহালা, যাদবপুর এবং গল্ফগ্রিন থানায়ও ট্যাব-কাণ্ডে পরপর লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় । সরশুনা থানায় ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে যে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়, তাতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নেমে দিবাকর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ।
লালাবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দিবাকরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে গোয়েন্দারা মালদার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম এবং মনসুর ইসলাম নামে দুই ব্যক্তির হদিশ পান । এরপরেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ দল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গিয়ে শুক্রবার রাতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা ট্যাব জালিয়াতির ঘটনার তদন্তে নেমেছেন । সাইবার সেলের গোয়েন্দাদের দাবি, পোর্টাল থেকে ট্যাব জালিয়াতি হয়েছে ৷ এই ধরনের পোর্টালের সাইটে মূলত অ্যাডমিন লগ ইন প্যানেলে স্পেশ্যাল ক্যারেক্টরস অফ করে রাখা একটা সাধারণ কাজ । মূলত পোর্টালের সিকিউরিটির জন্য এটি করা হয়ে থাকে । কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না ।
তদন্তকারীরা দাবি করছেন, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকিং করা হচ্ছে গোটা পোর্টালটি । আর নিমিষেই তুলে নেওয়া হচ্ছে মোটা মোটা টাকা । রাজ্যজুড়ে জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত নেমে এখনও পর্যন্ত মোট 32 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এবার কলকাতার সরশুনা থানায় ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় চোপড়া থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করায় সংখ্যাটি বেড়ে হল 34 ।