ঘাটাল, 8 সেপ্টেম্বর: "যতই যন্ত্র আসুক উদ্বোধন দুবার হতে পারে না" ফের দেবকে পাল্টা কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। পাশাপাশি তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে দেবের উদ্দেশ্য লেখেন, "আমরা, শ্রমজীবী সৈনিকরা বিষপান করে লড়ে অপ্রিয় হচ্ছি। তুমি চৈতন্যদেব সাজছো। পেশা, সৌজন্যের নামে কুৎসাকারীদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করছ। এসব টুপি সিনেমায় দিও।" দেব পাল্টা কুণাল বিতর্ক কিছুতেই থামছে না ৷ বঙ্গ রাজনীতিতে পোস্ট, পাল্টা পোস্টে উত্তপ্ত শাসকদলের অন্দরমহল !
মূলত, গত 4 সেপ্টেম্বর ঘাটালে একটি ডায়ালিসিস সেন্টারের উদ্বোধন করতে আসেন এলাকার সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর সেই উদ্বোধনের পরই কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "ঘাটাল হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি,স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিরাও ছিলেন। এবার ওই একই ইউনিটের উদ্বোধন করেন সাংসদ দেব। উদ্বোধক হিসেবে সিএম-এর নাম পাল্টে এমপি, সুপারস্টার একেই বলে । ঘাটালের মানুষ তো অবাক !"
এই নিয়ে প্রথম বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তবে এই এক্স হ্যান্ডেল এই পোস্ট করার পর দেবও থেমে থাকেননি ৷ তিনি পাল্টা নিজের এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষের উদ্দেশ্যে লেখেন, "আমি দিদিকে অনুরোধ করেছিলাম ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস এবং সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য, সেটা দিদি মার্চ মাসে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন। এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এই মেশিনগুলো উদ্বোধন করি যাতে সাধারণ মানুষ ঘাটাল হাসপাতালের এই ডায়ালিসিস পরিষেবার ব্যাপারে জানতে পারে। আমার মনে হয় এর ফলে কোনও মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। ধন্যবাদ তোমাকে, তোমার মাধ্যমে এই পরিষেবার কথা আরও অনেকের কাছে পৌঁছে গেল। শেষে একটাই কথা বলব, আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাতে তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য না করাই ভালো ।"
এরই পাশাপাশি, ঘাটালবাসীর উদ্দেশ্যে দেব বলেন, "আরেকবার সকলকে জানিয়ে রাখি, ঘাটাল সুপার স্পেশিলিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস-এর পরিষেবা আরম্ভ হয়ে গেছে, এখন আর আপনাদের কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা কলকাতার কোনও হাসপাতালে ছুটে যেতে হবে না এবং সিটি স্ক্যান এর পরিষেবা এই মাসের শেষ থেকেই কার্যকরী হয়ে যাবে ।"
এই পোস্টের পরই ঠিক আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো কুণাল ঘোষ পালটা পোস্ট করেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে । তাতে তিনি দেবকে কটাক্ষ করে লেখেন, "দিদির উদ্বোধন ছবিতেই স্পষ্ট। যত যন্ত্র আসুক, উদ্বোধন দুবার হতে পারে না। উদ্বোধক বদলায় না। এসব টুপি সিনেমায় দিও। আর পরিস্থিতি ? আমরা, শ্রমজীবী সৈনিকরা বিষপান করে লড়ে অপ্রিয় হচ্ছি। তুমি চৈতন্যদেব সাজছো । পেশা, সৌজন্যের নামে কুৎসাকারীদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করছ ।" এই ঘটনায় ফের নতুন করে উত্তাপ ছড়ালো শাসকদলের অন্দরে।