কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: রবিবারই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার । দল ও সাংসদ পদ ছাড়ার পর বিস্ফোরক চিঠিতে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি । সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর পদক্ষেপ নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন । তাঁর কিছু বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও সহমত পোষণ করেন বলে জানালেন কুণাল ঘোষ ৷
আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ বলেন, জহর সরকারের বক্তব্যে তিনি আংশিক সহমত হলেও এই মুহূর্তে দল ছাড়ার কথা ভাবতে পারছেন না । বরং দলের মধ্যে থেকেই এই বিষয় নিয়ে এগোতে চান তিনি ।
এদিন কুণাল বলেন, "জহর সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি না । তবে এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত । এই নিয়ে কোনও মতামত দিতে চাইছি না । জহর সরকারের কিছু কিছু বক্তব্য, কিছু কিছু পয়েন্টের সঙ্গে আমার মতো সৈনিকেরা সহমত । জহর সরকার তাঁর মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে । তবে তৃণমূল কংগ্রেসের আমার মতো কিছু সৈনিক রয়েছেন, যাঁরা যাই ঘটনা ঘটুক না-কেন, দলের বৃত্তে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে থেকেই দলের মঞ্চ থেকেই লড়াইটা চালাচ্ছেন । আমরাও আশা করি কোথাও কোনও ভুল ত্রুটি শুদ্ধিকরণ সংশোধন প্রয়োজন হলে সেই পদক্ষেপগুলি করা হবে ।"
তিনি আরও বলেন, "সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উষ্মা, যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, আমরা দলের মধ্যে থেকেই দলের উপর আস্থা রেখে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি । আবার যেখানে যেখানে সংশোধন প্রয়োজন দলের মধ্যে থেকেই সেই প্রচেষ্টা চালানোর চেষ্টা করছি । জহর সরকারের সিদ্ধান্তের কোনও সমালোচনা করছি না । তাঁর সঙ্গে যেন কোনও ভুল বোঝাবুঝি না-থাকে । তাঁর যে পর্যবেক্ষণ বা উদ্বেগ তাতে কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি, বা অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠুক সেটাও চাই না । তবে তিনি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা নিয়ে কিছু বলার নেই ।"
কুণালের কথায়, "এ বিষয়ে আমার মতো সৈনিকেরা সহমত হলেও এখন যেভাবে নাগরিক সমাজকে সামনে রেখে রাজনীতি করা হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে দলের বাইরে গিয়ে কিছু অবস্থান ভাবতেই পারি না । আমরা চাই দল এমন কিছু পদক্ষেপ করুক, যাতে সাধারণ মানুষের যা কিছু প্রশ্ন, বিরক্তি ও ক্ষোভ আছে তা প্রশমন করা যায় ।"