কলকাতা, 27 অক্টোবর: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্য, আত্মঘাতী গোলের মতো ৷ এমনটাই মনে করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ আজ পেট্রাপোল সীমান্তে সরকারি মঞ্চ থেকে অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ যা নিয়ে কুণালের পালটা জবাব, সীমান্তে অনুপ্রবেশের সমস্যা থাকার অর্থ, বিএসএফ-এর ব্যর্থতা ৷
অনুপ্রবেশ, দুর্নীতি, একশো দিনের কাজের টাকা-সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বঙ্গে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে নিশানা করেন ৷ 2026-এর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এই সব সমস্যার চিরতরে সমাধানের কথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে ৷ সেই সব নিয়েই এ দিন পালটা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "অমিত শাহ বাংলায় যাতায়াত করতে পারেন কিন্তু তার কোনও রাজনৈতিক প্রভাব বাংলার নির্বাচনে নেই । বাংলার মানুষের আশির্বাদ নিয়ে এ রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ।"
এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, "উনি একবার এসে বলবেন একুশ, একবার বলবেন চব্বিশ, একবার বলবেন ছাব্বিশ ৷ ক্রমশ ওদের ক্ষমতায় আসার দিন তো, পিছোতেই থাকছে ৷ অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেই হিসাবে তাঁর চেয়ারের গুরুত্ব আছে ৷ কিন্তু, বাংলায় তিনি রাজনৈতিক পর্যটক, বাংলার রাজনীতিতে তাঁর কোনও প্রভাব নেই ৷"
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এ দিন অমিত শাহের মন্ত্রকের বিরুদ্ধে পালটা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন কুণাল ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "অনুপ্রবেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের সমস্যা ৷ যে সীমান্ত পাহারা দেয় অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফ ৷ ওটা কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের জায়গা নয় ৷ অমিত শাহ যখন নিজের মুখে বলেন অনুপ্রবেশ একটা সমস্যা, তখন ধরে নিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তথা সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থার ব্যর্থতার কথা বলছেন ৷ অমিত শাহের এই কথা তো আত্মঘাতী গোলের মতো ৷"
মনরেগা বা একশো দিনের কাজে মোদি সরকার কত টাকা 10 বছরে দিয়েছে, তার হিসেবও এ দিন শুনিয়েছেন শাহ ৷ যা নিয়ে কুণালের মন্তব্য, মুখে না-বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন মোদি-শাহ জুটি ৷ তবেই বোঝা যাবে, সত্যিটা ঠিক কী ! কুণাল বলেন, "একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে, আবাসের একটা পয়সাও দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার ৷ একশো দিনের কাজ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন ৷ সেই দাবিও তাঁরা মানেননি ৷ মুখে কথা বলছেন কেন ? শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন ৷ তথ্য দিয়ে দেখান, কোন খাতে, কত টাকা দিয়েছেন !"