জলপাইগুড়ি, 27 মার্চ: কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে ৷ তাই তারা লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না ৷ কিন্তু, কেপিপি-র নাম করে লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করতে পারে কেউ কেউ ৷ এই আশঙ্কায় মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে লিখিত অভিযোগ জানালেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অমিত রায় ৷ সেই সঙ্গে অমিত রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তারা শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে এই লোকসভা নির্বাচনে ৷
এদিন অমিত রায় বলেন, "আমরা খবর পেয়েছি কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নাম করে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে ৷ যারা বহিষ্কৃত, তারা দলের নাম বদনাম করার জন্য এই কাজ করছে ৷ আমরা এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছি ৷ তৃণমূল সরকারকেই আমরা সমর্থন করছি ৷" উল্লেখ্য, গত 19 মার্চ কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অমিত রায় জানিয়েছিলেন, তারা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তারা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে ৷ মূলত, এই ঘোষণার পিছনেও রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল অমিত রায়ের বিরোধী পক্ষের তরফে ৷
এর কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গের সফরের মাঝেই কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় কেপিপি সভাপতিকে ৷ আর তারপরেই এই ঘোষণা করেন অমিত রায় ৷ তাই বিরোধী গোষ্ঠীর দু’টি বিষয়কে দু’য়ে-দু’য়ে চার করতে বেশি অসুবিধা হয়নি ৷ উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার এই তিন আসনে কামতাপুরী ভোটের প্রভাব ব্যাপক ৷ ফলে 19 এপ্রিল প্রথমদফার ভোটে এই কামতাপুরী ভোট কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার ৷
কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে বসার পর অমিত রায় বলেন, "রাজ্য সরকার আমাদের ভাষা ও জাতির জন্য অনেক কাজ করছে ৷ ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে দু’টি স্কুল চালু করেছে ৷ শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে ৷ রাজ্য সরকার আমাদের উন্নয়ন করছে ৷ কিন্তু, কেন্দ্র বা বিজেপি সরকার আমাদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেছে ৷ আমাদের আলাদা রাজ্য ও অষ্টম তফসিলি ভাষার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের ৷ কিন্তু, আমরা আবেদন নিবেদন করলেও, কোন আলোচনায় বসেনি ৷ এখন ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ৷ আমাদের জন্য বিজেপি সরকারের আর কিছু করার নেই এই সময়ে ৷"
আরও পড়ুন: