ETV Bharat / state

তৃণমূলের সঙ্গে কেপিপি, ভুয়ো মনোনয়ন পেশের আশঙ্কায় কমিশনের অভিযোগ অমিত রায়ের - Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেপিপি তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে ৷ তাই তাদের তরফে কোনও মনোনয়ন নির্বাচনে ফাইল করা হবে না ৷ মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসে সেকথাই জানান কেপিপি সভাপতি অমিত রায় ৷ তাঁর অভিযোগ, কেউ বা কারা কেপিপি-র নামে মনোনয়ন জমা করতে পারে ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 27, 2024, 6:30 AM IST

তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানালেন কেপিপি সভাপতি অমিত রায়

জলপাইগুড়ি, 27 মার্চ: কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে ৷ তাই তারা লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না ৷ কিন্তু, কেপিপি-র নাম করে লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করতে পারে কেউ কেউ ৷ এই আশঙ্কায় মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে লিখিত অভিযোগ জানালেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অমিত রায় ৷ সেই সঙ্গে অমিত রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তারা শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে এই লোকসভা নির্বাচনে ৷

এদিন অমিত রায় বলেন, "আমরা খবর পেয়েছি কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নাম করে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে ৷ যারা বহিষ্কৃত, তারা দলের নাম বদনাম করার জন্য এই কাজ করছে ৷ আমরা এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছি ৷ তৃণমূল সরকারকেই আমরা সমর্থন করছি ৷" উল্লেখ্য, গত 19 মার্চ কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অমিত রায় জানিয়েছিলেন, তারা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তারা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে ৷ মূলত, এই ঘোষণার পিছনেও রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল অমিত রায়ের বিরোধী পক্ষের তরফে ৷

এর কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গের সফরের মাঝেই কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় কেপিপি সভাপতিকে ৷ আর তারপরেই এই ঘোষণা করেন অমিত রায় ৷ তাই বিরোধী গোষ্ঠীর দু’টি বিষয়কে দু’য়ে-দু’য়ে চার করতে বেশি অসুবিধা হয়নি ৷ উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার এই তিন আসনে কামতাপুরী ভোটের প্রভাব ব্যাপক ৷ ফলে 19 এপ্রিল প্রথমদফার ভোটে এই কামতাপুরী ভোট কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার ৷

কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে বসার পর অমিত রায় বলেন, "রাজ্য সরকার আমাদের ভাষা ও জাতির জন্য অনেক কাজ করছে ৷ ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে দু’টি স্কুল চালু করেছে ৷ শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে ৷ রাজ্য সরকার আমাদের উন্নয়ন করছে ৷ কিন্তু, কেন্দ্র বা বিজেপি সরকার আমাদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেছে ৷ আমাদের আলাদা রাজ্য ও অষ্টম তফসিলি ভাষার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের ৷ কিন্তু, আমরা আবেদন নিবেদন করলেও, কোন আলোচনায় বসেনি ৷ এখন ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ৷ আমাদের জন্য বিজেপি সরকারের আর কিছু করার নেই এই সময়ে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. পৃথক রাজ্য ও ভাষার স্বীকৃতি না পেলে বিজেপিকে ভোট নয়, হুঁশিয়ারি কেপিপির
  2. কেপিপির কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, কেএলও আতঙ্ক ফিরছে বামনগোলায়!

তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানালেন কেপিপি সভাপতি অমিত রায়

জলপাইগুড়ি, 27 মার্চ: কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে ৷ তাই তারা লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না ৷ কিন্তু, কেপিপি-র নাম করে লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করতে পারে কেউ কেউ ৷ এই আশঙ্কায় মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে লিখিত অভিযোগ জানালেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অমিত রায় ৷ সেই সঙ্গে অমিত রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তারা শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে এই লোকসভা নির্বাচনে ৷

এদিন অমিত রায় বলেন, "আমরা খবর পেয়েছি কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নাম করে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে ৷ যারা বহিষ্কৃত, তারা দলের নাম বদনাম করার জন্য এই কাজ করছে ৷ আমরা এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছি ৷ তৃণমূল সরকারকেই আমরা সমর্থন করছি ৷" উল্লেখ্য, গত 19 মার্চ কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অমিত রায় জানিয়েছিলেন, তারা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তারা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে ৷ মূলত, এই ঘোষণার পিছনেও রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল অমিত রায়ের বিরোধী পক্ষের তরফে ৷

এর কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গের সফরের মাঝেই কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় কেপিপি সভাপতিকে ৷ আর তারপরেই এই ঘোষণা করেন অমিত রায় ৷ তাই বিরোধী গোষ্ঠীর দু’টি বিষয়কে দু’য়ে-দু’য়ে চার করতে বেশি অসুবিধা হয়নি ৷ উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার এই তিন আসনে কামতাপুরী ভোটের প্রভাব ব্যাপক ৷ ফলে 19 এপ্রিল প্রথমদফার ভোটে এই কামতাপুরী ভোট কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার ৷

কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে বসার পর অমিত রায় বলেন, "রাজ্য সরকার আমাদের ভাষা ও জাতির জন্য অনেক কাজ করছে ৷ ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে দু’টি স্কুল চালু করেছে ৷ শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে ৷ রাজ্য সরকার আমাদের উন্নয়ন করছে ৷ কিন্তু, কেন্দ্র বা বিজেপি সরকার আমাদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেছে ৷ আমাদের আলাদা রাজ্য ও অষ্টম তফসিলি ভাষার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের ৷ কিন্তু, আমরা আবেদন নিবেদন করলেও, কোন আলোচনায় বসেনি ৷ এখন ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ৷ আমাদের জন্য বিজেপি সরকারের আর কিছু করার নেই এই সময়ে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. পৃথক রাজ্য ও ভাষার স্বীকৃতি না পেলে বিজেপিকে ভোট নয়, হুঁশিয়ারি কেপিপির
  2. কেপিপির কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, কেএলও আতঙ্ক ফিরছে বামনগোলায়!
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.