কলকাতা, 31 অগস্ট: জেল থেকে ছাড়া পেলেন ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী । তাঁকে শনিবার বেলা 1.40 মিনিট নাগাদ নগর দায়রা আদালতে কিছু আইনি প্রক্রিয়ার পরই ছেড়ে দেওয়া হয় । শুক্রবার ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে 31 অগস্ট বেলা 2টোর মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এর আগে 27 অগস্ট নবান্ন অভিযানের সময় কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। এবার ছাড়া পেলেন। এই ঘটনায় আদালতে স্বস্তি পেলেন সায়ন। বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের অনুমতি ছাড়া পুলিশ আর কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না । বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, সায়নকে হেফাজতে নিয়ে আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত ৷
শুনানিতে বিচারপতি সিনহা আরজি করের ঘটনাকে মানব সভ্যতাকে শিহরিত করার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন । বিচারপতি বলেন, ‘‘আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে (রাজ্যকে) ৷ প্রথমত, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য, দেশ এবং দেশের সীমানা ছাড়িয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে ৷
রাত দখলের কর্মসূচি-সহ ক’টি ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে এবং কটি ক্ষেত্রে পুলিশ অনুমতি দিয়েছে ?
দ্বিতীয়ত, সায়ন লাহিড়ী কতটা প্রভাবশালী ? তাঁর কি অপরাধের কোনও পূর্ব ইতিহাস আছে ? তিনি কি আদৌ নেতা ? নাকি গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল ? তৃতীয়ত, সন্দীপ ঘোষকে কি পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল? তিনি তো আরজি করের নেতা ছিলেন ! চতুর্থত, সায়নের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ করছে পুলিশ। সেই দিক থেকে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন ? পঞ্চমত, যাঁরা আসল দোষী বা দোষ করার মতো জায়গায় আছেন তাঁদের কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ? এখনও পর্যন্ত আমার সায়ন লাহিড়ীকে এতটা প্রভাবশালী মনে হচ্ছে না যে তিনি একডাকে এত লোক জোগাড় করতে পারেন ৷