কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: পথ হারিয়ে নিজের পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছিল না মাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থী ৷ সে কান্নাকাটি শুরু করেছিল ৷ এই অবস্থায় ওই ছাত্রীকে নিজের বাইকে চাপিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট । সাহায্য করলেন অন্যান্য পুলিশকর্মীরাও । এই খবর শুনে সাধুবাদ জানালেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল ।
মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিন অর্থাৎ আজ, ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সকাল 9:40 হয়ে গিয়েছিল । ব্যস্ত সময়ে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় । তিনি দেখতে পান, দূর থেকে এক ছাত্রী চোখে জল নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । আচমকা স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায়কে দেখতে পেয়ে তাঁর কাছে ছুটে এসে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ওই ছাত্রী । সে জানায় যে, সে একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ তার পরীক্ষাকেন্দ্র মিলি আল আমিন কলেজ (গার্লস), যার ঠিকানা 43 হরেকৃষ্ণ কোনার রোড, বেনিয়াপুকুর, কলকাতা - 700017 ৷
ওই ছাত্রী পুলিশকে জানায় সে কিছুতেই ওই পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছে না । হাতে খুব একটা সময় না থাকার ফলে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় কোনও প্রকারের দেরি না করে কনস্টেবল উজ্জ্বল মণ্ডলকে নির্দেশ দেন ওই পরীক্ষার্থীকে তার পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য । পাশাপাশি তিনি গোটা পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চালান । খুব অল্প সময়ের মধ্যে কনস্টেবল উজ্জ্বল মণ্ডল ওই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন ৷ সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই পরীক্ষার্থী ও তার পরিবার কলকাতা পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে ।
এছাড়াও মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাস্তায় নামানো হচ্ছে কলকাতা পুলিশের উইনারস বাহিনীকে ৷ কোনও ছাত্রী পরীক্ষা দিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়লে, মহিলা পুলিশকর্মীরা তাদের সাহায্য করতে পারবে ৷ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কলকাতায় রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে মোট 12 জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিককে ৷ প্রায় 10 লক্ষ পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে ৷ পরীক্ষা চলবে 12 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৷ ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে ৷ 24 ঘণ্টা পরিষেবা পাওয়া যাবে সেখানে ৷
আরও পড়ুন :