ETV Bharat / state

কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে পারল না পুলিশ, প্রশিক্ষণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন - RG Kar Hospital Vandalism - RG KAR HOSPITAL VANDALISM

RG Kar Hospital Vandalism: বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে রণক্ষেত্র তৈরি হয় ৷ সেই পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে দফায় দফায় হোঁচট খেতে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে ৷ এমনকী, পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটাতে পারেনি বলে অভিযোগ ৷

RG Kar Hospital Vandalism
কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে পারল না পুলিশ, প্রশিক্ষণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 15, 2024, 1:56 PM IST

কলকাতা, 15 অগস্ট: কথা ছিল, রাত দখল করবেন মেয়েরা ৷ নারী-সুরক্ষার দাবিতে সরব হবেন ৷ কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে সেই আন্দোলনের অভিমুখ আচমকাই বদলে যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ৷ শুরু হয় হিংসাত্মক বিক্ষোভ-ভাঙচুর ৷ তছনছ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একাংশ ৷ আর এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের সক্ষমতা ৷

বিশেষ করে হিংসাত্মক বিক্ষোভকারীদের (যাঁরা আন্দোলনকারী নন, বহিরাগত বলেই অভিযোগ উঠেছে) সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে গিয়েই যখন পুলিশ-কর্মীদের হোঁচট খেতে হল, তখন এই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে ৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ঠিকঠাক ভাবে ফাটাতেই পারল না পুলিশ । প্রশিক্ষণের অভাব থেকে উন্নতমানের সরঞ্জামের অপ্রতুলতা যে কলকাতা পুলিশে রয়েছে, তা যেন এক রাতেই প্রমাণ হয়ে গেল ।

এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে । কাঁদানে গ্যাসের সেল কীভাবে ফাটাতে হয়, তা নিয়ে কি আদৌ কলকাতা পুলিশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ? পাশাপাশি পুলিশ যে হাতিয়ার ব্যবহার করে, সেগুলি কতটা পুরনো, সেগুলি কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তাছাড়া এত আন্দোলনকারী যখন ছিলেন, তখন কেন পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল না ? ভাঙচুরের সময়ই কেন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারল না ? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারদর্শী ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের কেন জরুরিভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হল না ? ব়্যাফ নামাতে এত দেরি হল কেন ? কেন এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার সময় কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রথম দফায় ময়দানে নামলেন না ?

যদিও গত শুক্রবার সকাল থেকে সময় যত এগিয়েছে, ততই পুলিশের সংখ্যা বেড়েছে আরজি কর চত্বরে ৷ ব্যারিকেড করা হয়েছে৷ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়েছে ৷ কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে উন্মত্ত দুষ্কৃতীদের কেন আটকাতে পারল না পুলিশ, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা ৷ কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে লক্ষ্য করেও দফায় দফায় স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে আন্দোলকারীদের । তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পুলিশ দেরিতে সক্রিয় হল ? কার অনুমতির অপেক্ষায় ছিল পুলিশ ?

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও । কারণ, ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ । তবে বর্তমানে তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই । বিগত কিছু তদন্তে দেখা গিয়েছে যে যেখানেই সিবিআই যায়, সেখানেই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যায় । আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনার তদন্তে যে সংস্থা, তারা কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিয়ে আগেই ঘটনাস্থল সুরক্ষিত করল না ?

ফলে কাদের গাফিলতিতে বুধবার মধ্য়রাতে বিশৃঙ্খলা ছড়াল ও তা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লেগে গেল, তার উত্তর আদৌ মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার ৷

কলকাতা, 15 অগস্ট: কথা ছিল, রাত দখল করবেন মেয়েরা ৷ নারী-সুরক্ষার দাবিতে সরব হবেন ৷ কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে সেই আন্দোলনের অভিমুখ আচমকাই বদলে যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ৷ শুরু হয় হিংসাত্মক বিক্ষোভ-ভাঙচুর ৷ তছনছ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একাংশ ৷ আর এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের সক্ষমতা ৷

বিশেষ করে হিংসাত্মক বিক্ষোভকারীদের (যাঁরা আন্দোলনকারী নন, বহিরাগত বলেই অভিযোগ উঠেছে) সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে গিয়েই যখন পুলিশ-কর্মীদের হোঁচট খেতে হল, তখন এই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে ৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ঠিকঠাক ভাবে ফাটাতেই পারল না পুলিশ । প্রশিক্ষণের অভাব থেকে উন্নতমানের সরঞ্জামের অপ্রতুলতা যে কলকাতা পুলিশে রয়েছে, তা যেন এক রাতেই প্রমাণ হয়ে গেল ।

এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে । কাঁদানে গ্যাসের সেল কীভাবে ফাটাতে হয়, তা নিয়ে কি আদৌ কলকাতা পুলিশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ? পাশাপাশি পুলিশ যে হাতিয়ার ব্যবহার করে, সেগুলি কতটা পুরনো, সেগুলি কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তাছাড়া এত আন্দোলনকারী যখন ছিলেন, তখন কেন পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল না ? ভাঙচুরের সময়ই কেন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারল না ? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারদর্শী ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের কেন জরুরিভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হল না ? ব়্যাফ নামাতে এত দেরি হল কেন ? কেন এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার সময় কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রথম দফায় ময়দানে নামলেন না ?

যদিও গত শুক্রবার সকাল থেকে সময় যত এগিয়েছে, ততই পুলিশের সংখ্যা বেড়েছে আরজি কর চত্বরে ৷ ব্যারিকেড করা হয়েছে৷ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়েছে ৷ কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে উন্মত্ত দুষ্কৃতীদের কেন আটকাতে পারল না পুলিশ, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা ৷ কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে লক্ষ্য করেও দফায় দফায় স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে আন্দোলকারীদের । তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পুলিশ দেরিতে সক্রিয় হল ? কার অনুমতির অপেক্ষায় ছিল পুলিশ ?

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও । কারণ, ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ । তবে বর্তমানে তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই । বিগত কিছু তদন্তে দেখা গিয়েছে যে যেখানেই সিবিআই যায়, সেখানেই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যায় । আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনার তদন্তে যে সংস্থা, তারা কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিয়ে আগেই ঘটনাস্থল সুরক্ষিত করল না ?

ফলে কাদের গাফিলতিতে বুধবার মধ্য়রাতে বিশৃঙ্খলা ছড়াল ও তা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লেগে গেল, তার উত্তর আদৌ মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.