ETV Bharat / state

পাপমুক্তির লোভ দেখিয়ে গয়না হাতানোর অভিযোগ, পুলিশের জালে 11 ভুয়ো তান্ত্রিক - Kolkata Police

Jewelry Stealing Case: পাপমুক্তির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা ৷ গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ৷ কলকাতা পুলিশের জালে 11 জন ৷ তান্ত্রিক সেজে প্রতারণা চলতে বলে অভিযোগ ৷ ধৃতরা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা ৷

Kolkata Police
Kolkata Police
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 2, 2024, 3:06 PM IST

কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: পাপের পাঁক থেকে কে না মুক্তি চায় ? সেই মুক্তির লোভকে হাতিয়ার করে গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা শহরে ৷ একটি বা দু’টি নয়, কলকাতার বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় এভাবে বহু মহিলার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ তদন্তে নেমে আপাতত 11 জন ভুয়ো তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আরও কেউ আছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷

অভিযোগ কী: লাল রক্ত-জবা রংয়ের পোশাক পরিহিত কয়েকজন তান্ত্রিক প্রথমে কোনও বাড়িতে প্রবেশ করতেন ৷ দিনের যে সময় বাড়িতে শুধু মহিলারা থাকেন, সেই সময়ই তাঁরা হাজির হতেন ৷ তার পর নানা অছিলায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মহিলাদের অভিশাপ দিয়ে সেখান থেকে চলে আসতেন ৷ এর পর আসরে নামত ওই তান্ত্রিকদের আরেকটি দল ৷ সেই দলের সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের বোঝাতেন অভিশাপ থেকে মুক্ত করার উপায় তাঁদের কাছে আছে ৷

উপায় হিসেবে তাঁরা বাড়ির মহিলাদের গয়না শোধন করার কথা বলতেন ৷ কখনও মহিলারদের গলার হার বা নেকলেস কিংবা আলমারিতে থাকা অন্য গয়না আনতে বলতেন ৷ তার পর বলতেন শোধন প্রক্রিয়া ওই মহিলারা দেখলে পাপমুক্তি ঘটবে না ৷ তাই ওই মহিলাদের পিছনে ঘুরে দাঁড়াতে বলতেন ওই তান্ত্রিকরা ৷ মহিলারা পিছনে ঘুরলেই সুযোগ বুঝে গয়না নিয়ে চম্পট দিতেন তাঁরা ৷ তাঁদের সঙ্গে বাইক থাকত৷ সেই বাইকেই দ্রুত উধাও হয়ে যেতেন তাঁরা ৷

পুলিশ কী বলছে: কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই আমরা বিভিন্ন থানা মারফত খবর পাচ্ছিলাম যে মুক্তি দেওয়ার জন্য মহিলাদের নেকলেস হাতিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে । ট্যাংরা, তপসিয়া, কাঁকুড়গাছি, ফুলবাগান থানায় এই ধরনের প্রতারণার মামলা রজু হয় । এরপরই তদন্ত নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । তদন্ত নেমে জানা যায় যে প্রত্যেকটি ঘটনার মোডাস অপরেন্ডি বা অপরাধের ধরন প্রায় এক ।’’

কিন্তু কোনোভাবেই ‘অপরাধী’দের ধরতে পারছিল না পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে ট্যাংরার একটি আবাসনে একইভাবে গয়না লুটের ঘটনা ঘটে ৷ ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে তান্ত্রিকদের চেহারা স্পষ্ট হয় ৷ তার পর কাঁকুড়গাছি, শিয়ালদা ও ট্যাংরা-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এক এক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে শুরু করে পুলিশ ৷ এখনও পর্যন্ত 11 জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে যে এরা সকলেই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা ৷ কলকাতায় এসেছিল প্রতারণার উদ্দেশ্য়ে ৷ সেই উদ্দেশ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছিল ৷ তাদের কাছে থাকা বাইকগুলিতে পশ্চিমবঙ্গের নম্বর প্লেট ছিল ৷ ফলে সেগুলি আসল নম্বর নাকি নকল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেটাও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন ৷

আরও পড়ুন:

  1. কমোডে ঢোকানো মুখ, নিজাম প্যালেস থেকে উদ্ধার কলকাতা পুলিশের কর্মীর দেহ
  2. সাইবার প্রতারণায় মৃত্যু তরুণীর, লাদাখ পুলিশের জালে কলকাতার যুবক
  3. বাড়ি সংস্কারের কাজ না দেওয়ায় প্রবাসী বাঙালির নাক ফাটালেন দাপুটে প্রমোটার

কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: পাপের পাঁক থেকে কে না মুক্তি চায় ? সেই মুক্তির লোভকে হাতিয়ার করে গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা শহরে ৷ একটি বা দু’টি নয়, কলকাতার বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় এভাবে বহু মহিলার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ তদন্তে নেমে আপাতত 11 জন ভুয়ো তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আরও কেউ আছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷

অভিযোগ কী: লাল রক্ত-জবা রংয়ের পোশাক পরিহিত কয়েকজন তান্ত্রিক প্রথমে কোনও বাড়িতে প্রবেশ করতেন ৷ দিনের যে সময় বাড়িতে শুধু মহিলারা থাকেন, সেই সময়ই তাঁরা হাজির হতেন ৷ তার পর নানা অছিলায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মহিলাদের অভিশাপ দিয়ে সেখান থেকে চলে আসতেন ৷ এর পর আসরে নামত ওই তান্ত্রিকদের আরেকটি দল ৷ সেই দলের সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের বোঝাতেন অভিশাপ থেকে মুক্ত করার উপায় তাঁদের কাছে আছে ৷

উপায় হিসেবে তাঁরা বাড়ির মহিলাদের গয়না শোধন করার কথা বলতেন ৷ কখনও মহিলারদের গলার হার বা নেকলেস কিংবা আলমারিতে থাকা অন্য গয়না আনতে বলতেন ৷ তার পর বলতেন শোধন প্রক্রিয়া ওই মহিলারা দেখলে পাপমুক্তি ঘটবে না ৷ তাই ওই মহিলাদের পিছনে ঘুরে দাঁড়াতে বলতেন ওই তান্ত্রিকরা ৷ মহিলারা পিছনে ঘুরলেই সুযোগ বুঝে গয়না নিয়ে চম্পট দিতেন তাঁরা ৷ তাঁদের সঙ্গে বাইক থাকত৷ সেই বাইকেই দ্রুত উধাও হয়ে যেতেন তাঁরা ৷

পুলিশ কী বলছে: কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই আমরা বিভিন্ন থানা মারফত খবর পাচ্ছিলাম যে মুক্তি দেওয়ার জন্য মহিলাদের নেকলেস হাতিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে । ট্যাংরা, তপসিয়া, কাঁকুড়গাছি, ফুলবাগান থানায় এই ধরনের প্রতারণার মামলা রজু হয় । এরপরই তদন্ত নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । তদন্ত নেমে জানা যায় যে প্রত্যেকটি ঘটনার মোডাস অপরেন্ডি বা অপরাধের ধরন প্রায় এক ।’’

কিন্তু কোনোভাবেই ‘অপরাধী’দের ধরতে পারছিল না পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে ট্যাংরার একটি আবাসনে একইভাবে গয়না লুটের ঘটনা ঘটে ৷ ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে তান্ত্রিকদের চেহারা স্পষ্ট হয় ৷ তার পর কাঁকুড়গাছি, শিয়ালদা ও ট্যাংরা-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এক এক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে শুরু করে পুলিশ ৷ এখনও পর্যন্ত 11 জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে যে এরা সকলেই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা ৷ কলকাতায় এসেছিল প্রতারণার উদ্দেশ্য়ে ৷ সেই উদ্দেশ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছিল ৷ তাদের কাছে থাকা বাইকগুলিতে পশ্চিমবঙ্গের নম্বর প্লেট ছিল ৷ ফলে সেগুলি আসল নম্বর নাকি নকল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেটাও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন ৷

আরও পড়ুন:

  1. কমোডে ঢোকানো মুখ, নিজাম প্যালেস থেকে উদ্ধার কলকাতা পুলিশের কর্মীর দেহ
  2. সাইবার প্রতারণায় মৃত্যু তরুণীর, লাদাখ পুলিশের জালে কলকাতার যুবক
  3. বাড়ি সংস্কারের কাজ না দেওয়ায় প্রবাসী বাঙালির নাক ফাটালেন দাপুটে প্রমোটার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.