ETV Bharat / state

অস্থায়ী বিজ্ঞাপনে পুজো কমিটি-সংস্থার নাম লেখা বাধ্যতামূলক, নির্দেশ কর্পোরেশনের - KMC on Durga Puja Advertisement

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 15, 2024, 3:56 PM IST

Durga Puja 2024: পুজো কমিটিগুলোর অন্যতম আয়ের পথ হোর্ডিং, ব্যানার এবং ফেস্টুন। এসব কিছুর উপর নির্ভর করেই হয় বড় বাজেটের দুর্গাপুজো হয়। তবে পুজো মিটলেই সেই হোর্ডিং, ব্যানারের আবর্জনা সরাতে বিপুল টাকা খরচ হয় কর্পোরেশনের। এবার সেই ঝামেলা আটকাতে নয়া সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা কর্পোরেশন।

Kolkata Municipal Corporation
পুজো কমিটি-বিজ্ঞাপন সংস্থার নাম বাধ্যতামূলক জানাল কর্পোরেশন (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: দেবীপক্ষের সূচনা হতে হাতে আর বাকি মাত্র দিন পনেরো । আরজি করের আবহে এবছর এখনও ততটা উৎসবমুখর হয়নি 'সিটি অফ জয়'। প্রতিবার মোটামুটি এই সময় থেকেই কেনাকাটায় মেতে ওঠে আমজনতা। এবার সেই প্রবণতা একটু হলেও কম। তবে মণ্ডপের আশপাশের অস্থায়ী বিজ্ঞাপন লাগানোর বাঁশের কাঠামো বেঁধে ফেলেছে প্রায় সব পুজো কমিটি। মহালয়ার আগেই সেই কাঠামোয় শোভা পাবে অস্থায়ী বিজ্ঞাপন। আর তা থেকেই পুজো কমিটিগুলোর লাখ লাখ টাকা রোজগার হতে চলেছে। বলা চলে বিগ বাজেট বা স্মল বাজেটের পুজো- মূল রসদ এই বিজ্ঞাপন। কিন্তু কোন সংস্থা কোন পুজো কমিটির হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সেটা জানা না থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় পুরনিগমকে । এবার সেই রাস্তা বন্ধ হতে চলেছে। কর্পোরেশনের নির্দেশ বিজ্ঞাপনেই সব তথ্য উল্লেখ করে রাখতে হবে ।

বিজ্ঞাপন বাবদ পুজো কমিটি আয় করলেও সেই বিজ্ঞাপনের কাঠামো খুলতে বিপুল টাকা খরচ হয় কলকাতা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের। কলকাতা কর্পোরেশনের নির্দেশ বিজয়া দশমীর পর 7 দিনের মধ্যে খুলে ফেলতে হবে সমস্ত হোর্ডিং, ব্যানার, ফেস্টুন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, দিনের পর দিন গেলেও রাস্তার ধারে খুলে পড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলে থাকলেও কাউকে কিছু বলা যায় না ৷ কারণ খাতায় কলমে ওই বিজ্ঞাপন কে, কাকে দিয়েছে কিছুই তথ্য থাকে না।

আবার দেখা যায়, কোনও মণ্ডপের সামনে কেউ বিজ্ঞাপন দিলেও সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি কোনও টাকা পায়নি। ভিড়ের সুযোগে কোনও সংস্থা প্রচার করে নিয়েছে। আর কার বিজ্ঞাপন সেই তথ্য না থাকায় কলকাতা কর্পোরেশনও রোজগার করতে পারে না। তবে ওই হোডিং খোলার খরচ নিতে হয় কর্পোরেশনের কঠিন বর্জ্য অপসারণ বিভাগকে।

এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনের কাজ করে এমন সমস্ত এজেন্সিকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সমস্ত পুজো কমিটিকে হোর্ডিং, ব্যানার, ফেস্টুন দেওয়া হবে। কিন্তু তাতে যেন সমস্ত সংস্থার নাম মোটা হরফে জ্বলজ্বল করে দেওয়া থাকে। পাশাপাশি যে কমিটিকে দেওয়া হচ্ছে সেই কমিটির নামও যাতে জ্বলজ্বল করে। এর ফলে কোথাও যদি নাগরিকদের অসুবিধা হয় তারা কলকাতা কর্পোরেশনকে খবর দিলে, কর্পোরেশন সেই এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, কর্পোরেশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি সেই হোর্ডিং বা ব্যানার না-খোলা হয় সেক্ষেত্রে কর্পোরেশন বিজ্ঞাপনের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করবে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, আর্থিক জরিমানাও হতে পারে।

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: দেবীপক্ষের সূচনা হতে হাতে আর বাকি মাত্র দিন পনেরো । আরজি করের আবহে এবছর এখনও ততটা উৎসবমুখর হয়নি 'সিটি অফ জয়'। প্রতিবার মোটামুটি এই সময় থেকেই কেনাকাটায় মেতে ওঠে আমজনতা। এবার সেই প্রবণতা একটু হলেও কম। তবে মণ্ডপের আশপাশের অস্থায়ী বিজ্ঞাপন লাগানোর বাঁশের কাঠামো বেঁধে ফেলেছে প্রায় সব পুজো কমিটি। মহালয়ার আগেই সেই কাঠামোয় শোভা পাবে অস্থায়ী বিজ্ঞাপন। আর তা থেকেই পুজো কমিটিগুলোর লাখ লাখ টাকা রোজগার হতে চলেছে। বলা চলে বিগ বাজেট বা স্মল বাজেটের পুজো- মূল রসদ এই বিজ্ঞাপন। কিন্তু কোন সংস্থা কোন পুজো কমিটির হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সেটা জানা না থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় পুরনিগমকে । এবার সেই রাস্তা বন্ধ হতে চলেছে। কর্পোরেশনের নির্দেশ বিজ্ঞাপনেই সব তথ্য উল্লেখ করে রাখতে হবে ।

বিজ্ঞাপন বাবদ পুজো কমিটি আয় করলেও সেই বিজ্ঞাপনের কাঠামো খুলতে বিপুল টাকা খরচ হয় কলকাতা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের। কলকাতা কর্পোরেশনের নির্দেশ বিজয়া দশমীর পর 7 দিনের মধ্যে খুলে ফেলতে হবে সমস্ত হোর্ডিং, ব্যানার, ফেস্টুন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, দিনের পর দিন গেলেও রাস্তার ধারে খুলে পড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলে থাকলেও কাউকে কিছু বলা যায় না ৷ কারণ খাতায় কলমে ওই বিজ্ঞাপন কে, কাকে দিয়েছে কিছুই তথ্য থাকে না।

আবার দেখা যায়, কোনও মণ্ডপের সামনে কেউ বিজ্ঞাপন দিলেও সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি কোনও টাকা পায়নি। ভিড়ের সুযোগে কোনও সংস্থা প্রচার করে নিয়েছে। আর কার বিজ্ঞাপন সেই তথ্য না থাকায় কলকাতা কর্পোরেশনও রোজগার করতে পারে না। তবে ওই হোডিং খোলার খরচ নিতে হয় কর্পোরেশনের কঠিন বর্জ্য অপসারণ বিভাগকে।

এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনের কাজ করে এমন সমস্ত এজেন্সিকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সমস্ত পুজো কমিটিকে হোর্ডিং, ব্যানার, ফেস্টুন দেওয়া হবে। কিন্তু তাতে যেন সমস্ত সংস্থার নাম মোটা হরফে জ্বলজ্বল করে দেওয়া থাকে। পাশাপাশি যে কমিটিকে দেওয়া হচ্ছে সেই কমিটির নামও যাতে জ্বলজ্বল করে। এর ফলে কোথাও যদি নাগরিকদের অসুবিধা হয় তারা কলকাতা কর্পোরেশনকে খবর দিলে, কর্পোরেশন সেই এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, কর্পোরেশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি সেই হোর্ডিং বা ব্যানার না-খোলা হয় সেক্ষেত্রে কর্পোরেশন বিজ্ঞাপনের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করবে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, আর্থিক জরিমানাও হতে পারে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.