কলকাতা, 31 অগস্ট: আইন মাফিক অনুমোদন নিয়েই বাড়ি তুলেছিলেন বড়বাজার এলাকার জনৈক নাগরিক । আচমকাই আসে বেআইনি নির্মাণের নোটিশ । পুর আইনের 401 ধারায় ওই নোটিশ পাঠানো হয় । এই অভিযোগ পেয়ে বেজায় চটলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর হাতেই বিল্ডিং বিভাগ। প্রকাশ্যেই 4 নম্বর বরোর বিল্ডিং আধিকারিককে রীতিমত ধমক দিলেন কলকাতার মহানাগরিক ।
তাঁর কথায়, ‘‘ইন্সপেক্টররা টাকা খেতেই এসব করে । টাকা না-পেয়ে 401 ধারায় নোটিশ ধরিয়েছেন । ডোন্ট ডু দিস ।’’ পাশাপশি তাঁকেও যে এমন অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছিল সেটাওস্পষ্ট করেন । এই অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন তিনি রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৷
কী হয়েছে ?
বড়বাজার এলাকার এক নাগরিকের অভিযোগ, কলকাতার পুর আইন অনুযায়ী তিনি অনলাইনে নির্মাণের আবেদন করেছেন। এরপর নির্মাণকাজ চলাকালীন বিল্ডিং বিভাগের তরফে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হয় । তারপরেও বেআইনি নির্মাণের 401 ধারায় নোটিশ পাঠানো হয় ৷ এই ঘটনা শুনে মেয়র সব খোঁজ নেন । এর পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ফিরহাদ ৷
বরো কর্তার উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘‘কিছু ইন্সপেক্টর আছেন । টাকা খেতে যান । না-পেলেই এইসব করেন । সব অনুমোদন থাকার পরেও কেন এই নোটিশ দেওয়া হল?’’ এরপরেই ক্ষুব্ধ ফিরহাদ বলেন, ‘‘ডোন্ট ডু দিস । এমন করবেন না ৷ আমি শুধু আপনাকে নয়, সব বরোকে বলছি । এটা করবেন না । এভাবে কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, চলবে ৷ তার মানে এই নয় যে যারা আইনি কাজ করছেন, তাঁদের হেনস্থা করবেন ।’’ কর্পোরেশন সূত্রে খবর, সামান্য কিছু ত্রুটি থাকলে রুল 25 নোটিশ দিয়ে রেগুলারাইজ করা যায় রুল 26-এ । সেক্ষেত্রে 401 দেওয়ার প্রয়োজন থাকে না । বড় ধরনের ত্রুটি হলে বা নিয়ম লঙ্ঘন হলে তবেই করতে হয় । এদিন মেয়র সেই নিয়মও মনে করিয়ে দিয়েছেন ।