কলকাতা, 13 অক্টোবর: পুজো শেষ। এবার দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পালা ৷ শনিবার থেকে ঠাকুর ভাসান চলছে ৷ রবিবারও চলছে ৷ আগামিকাল, সোমবারও হবে ৷ প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফুল এবং অন্য সামগ্রীও জলে মিশে যায় ৷ প্রতিমার গায়ে সিসা দেওয়া রঙও জলে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷
তাই রবিবার বিকেলে কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলিতে ঘুরে সমগ্র পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখলেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র তথা নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷
তিনি বলেন, "16টি ঘাট থেকেই সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমা তুলে ধাপায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ যাতে সিসা গঙ্গায় না মিশে যায় তার জন্যই এই উদ্যোগ ৷ কারণ, কলকাতা গঙ্গার উপর নির্ভরশীল ৷ এই জল আমরা খাই ৷ এর উপর বিশেষ নজর রাখতে হচ্ছে ৷ পুরসভার সমস্ত বিভাগ একসঙ্গে কাজ করছে ৷" ফিরহাদ জানান, বিসর্জন ও কার্নিভালের দিনগুলিতে তিনি ঘাটগুলিতে হাজির থাকবেন ৷
শনিবার কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে প্রায় 900 টি প্রতিমা ভাসান হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত শুধু দক্ষিণ কলকাতার বাজে কদমতলার ঘাটেই 150টিরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে ৷ বাকি ভাসান হবে পুজো কার্নিভালের পর ৷
কলকাতা পুলিশ ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ৷ কলকাতা পুরনিগম সুষ্ঠুভাবে বিসর্জনের দিকেই জোর দিয়েছে, যাতে দূষণ না-ছড়ায় ৷ প্রতিটা ঘাটে রয়েছে পুরনিগমের কর্মীরা রয়েছেন ৷ ফুল সহ পুজোর সামগ্রী ফেলার জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে ৷
প্রতিমা গঙ্গায় ফেলা মাত্রই ক্রেন দিয়ে তুলে আনা হচ্ছে ৷ সেই কাঠামো ডাম্পারে তুলে একেবারে ধাপায় পাঠানো হচ্ছে ৷ বিসর্জন যাতে দূষণহীন হয়, সেদিকে নজর রাখতে ঘাটে হাজির পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত ৷ এদিন বাজাকদমতলা ঘাটে প্রস্তুতি দেখে স্পিড বোটে করে বেশ কয়েকটি ঘাটে বিসর্জন ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, তাও ঘুরে দেখেন ফিরহাদ হাকিম ৷ সঙ্গে ছিলেন পুর-কমিশনার ধবল জৈন এবং বাকি আধিকারিকরা ৷