কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: সরেজমিনে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্য পুলিশ আধিকারিকরাও ৷ রবিবার দুপুর নাগাদ আরজি করে যান তিনি ৷ এখন ওই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ ৷ আরজি করে ঢুকে দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় নগরপালকে ৷
এ দিন আরজি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগও ঘুরে দেখেন মনোজ ভার্মা ৷ প্রথমে ঢোকেন জরুরি বিভাগে । সেখানে গিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি ভালো করে খতিয়ে দেখেন । তার সঙ্গে ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরাও । তাঁরাও জরুরি বিভাগের ভিতরে যান । সেখান থেকে বেরিয়ে পুলিশ কমিশনার যান প্রসূতি বিভাগে। সেখান থেকে তাঁকে যেতে দেখা যায় অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে । তারপর তিনি পরিদর্শন করেন মেয়েদের হোস্টেল ও নার্সদের রুম। সব শেষে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং ও স্টোর বিল্ডিং ঘুরে আরজি কর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান তিনি ৷
9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে ৷ সেই ঘটনার জল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে ৷ পাশাপাশি ন্যয়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন রাজ্যবাসী ৷ জুনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতালে নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে একমাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন ৷ তাঁদের দাবি মেনে বদল করা হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়লকেও ৷ তারপরেই কলকাতার নগরপাল হিসাবে দায়িত্ব নেন মনোজ ভার্মা ৷ পদে আসীন হওয়ার পর এই নিয়ে দু'বার আরজি করে হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলেন তিনি ৷
আরজি কর-কাণ্ডের মাঝেই শুক্রবার সাগর দত্ত হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ ফিমেল ওয়ার্ডে ঢুকে চিকিৎসক ও নার্সদের উপর চড়াও হয় রোগীর পরিবার । এই ঘটনায় ফের একবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে । ওই ঘটনার ফের শুক্রবার রাত থেকে সম্পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেন সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা ।
তারপর ব্যাচের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সমস্ত জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, 30 তারিখ বিকেল 5টার মধ্যে যদি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা না হয়, তাহলে ফের পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করবেন তাঁরা । এরপরেই রবিবার আরজি কর হাসপাতালে যান মনোজ । রোগী পরিবার থেকে চিকিৎসক সকলের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন তিনি । অন্যদিকে সোমবার অর্থাৎ 30 সেপ্টেম্বর দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে । তার আগে রবিবার সন্ধ্যায় নিজ নিজ মেডিক্যাল কলেজ থেকে মশাল মিছিল কর্মসূচির ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা । তাঁরা এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন, 'পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসব নয় প্রতিবাদে ৷'