কলকাতা, 13 মার্চ: মাথায় স্টাম্পের আঘাত করে হত্যা । পরে ব্যবসায়ীর দেহ জলের ট্যাংকের পাশে বস্তাবন্দি করে পুঁতে, তার উপর দিয়ে পাঁচিল তুলে দেওয়ার অভিযোগ ৷ হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার নিমতার রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় । মৃত ব্যবসায়ীর নাম ভাবো লাখানি ৷ তিনি কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ ঘটনায় মৃতের দুই ব্যবসায়িক অংশীদার অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনায় বালিগঞ্জ ও নিমতা থানার পুলিশ যৌথ উদ্যোগে তদন্তে করছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে তার মালিক মৃত ব্যবসায়ীর পরিচিত। তাঁরা একসঙ্গেই ব্যবসা করতেন । প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই খুন । এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাস নামে দু'জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছি । এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ী ভাবো লাখানি কয়েক মাস হল ভবানীপুরে থাকতে শুরু করেছিলেন। তবে মাঝেমধ্যেই ব্যবসায়িক কাজের জন্য তিনি বাইরেও থাকতেন। পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন কলকাতার ভবানীপুরের এই ব্যবসায়ী। বালিগঞ্জ থানায় পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করেছিল পুলিশ ৷ এরপরেই বুধবার নিমতার রবীন্দ্রপল্লিতে ভাবোর ব্যবসায়িক অংশীদারের বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ।
ওই বাড়ির জলের ট্যাংকের পাশে ব্যবসায়ীর দেহ বস্তাবন্দি করে পুঁতে রাখা হয়েছিল । পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দেহ পুঁতে তার উপর পাঁচিলও গেঁথে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ৷ তাদের জেরা করে গোটা বিষয়টি সামনে আসে ।
আরও পড়ুন: