কলকাতা, 24 জুলাই: প্রথম দফায় কলকাতার 5 জায়গায় সমীক্ষা হয়েছিল । সেখানেই 8 থেকে 9 হাজার হকার নথিভুক্ত হয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা । এই সমীক্ষা হবে শিয়ালদা বাজার, বৌবাজার, চাঁদনী চক, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, সুরেন্দ্র নাথ ব্যানার্জি রোড, বেহালার একাংশ ও ঠাকুরপুকুর এলাকা এবং কলেজ স্ট্রিট মার্কেট এলাকায় ।
হকারদের বেলাগাম মনোভাবে লাগাম দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে কোমর বেঁধে নেমেছে কলকাতা পুরনিগম ও টাউন ভেন্ডিং কমিটি। প্রথম দফায় নিউমার্কেট, গ্র্যান্ড হোটেল লাগোয়া এলাকা, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, বেহালা - এই পাঁচটি জোনে ডিজিটাল সমীক্ষার কাজ হয় । এবার দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষার কাজে নামার আগে আরও এক দফা সমীক্ষা হবে আগামিকাল । যে অ্যাপের মাধ্যমে প্রথমবার এই সমীক্ষা হয় সেই অ্যাপে কোনও ত্রুটি থাকলে সেগুলো সংশোধন করা হবে ৷ প্রথম দফায় 7 হাজার 500 হকারের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও প্রায় দেড় হাজার হকার তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে ।
এইবার যে সমস্ত এলাকায় হকার সমীক্ষা হবে সেখানে হকারদের দাপট অনেকটাই বেশি ৷ চাঁদনী চক এলাকায় দোকানের সামনে থেকে ফুটপাথ, রাস্তা কোথাও বাদ যায়নি হকারদের দাপট ৷ কলকাতা পুরনিগমের পক্ষ থেকে 5টি দল এই সমীক্ষা করবে ৷ প্রত্যেকটি দলের মাথায় এক জন করে ম্যানেজার পদের আধিকারিক থাকছেন । মোট 160 জন আধিকারিক দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষার কাজ করবেন । এই সমীক্ষা শেষ হয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দুই দফার সমীক্ষা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে দ্রুত নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে ৷
কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "সমীক্ষা ও সতর্ক করার জেরে ইতিমধ্যে গড়িয়াহাট, নিউমার্কেটের চেহারা বদলেছে । দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ শিয়ালদা, কলেজস্ট্রিট ও চাঁদনী চকের মতো ঘিঞ্জি এলাকা আছে । সেখানে হকারদের নিয়ম মাফিক সমীক্ষা করে এলাকার ভোলবদল করা কঠিন । তবে আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই এই কাজ করব । হকার উচ্ছেদ নয়, তবে যথেচ্ছ ভাবে বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে হকারি করাও নয়। নিয়ম মেনে হকারি করাই মূল লক্ষ্য ।"