কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। সেখানে একাধিক বাসিন্দা। বাকি অংশ বিপজ্জনক হলেও ঝুঁকি নিয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘাটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিপজ্জনক বাড়ির সব বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন।
বাড়ির বাসিন্দা 13টি পরিবাকে বাংলার বাড়ি প্রকল্প ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন 73 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বউ কাজোরি বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জানানো হয়েছে, প্রত্যেককে দেওয়া হবে কর্পোরেশনের তরফে পজেশন সার্টিফিকেট। সম্প্রতি ভবানীপুর এলাকার 12 নম্বর মদন পাল লেনে একটি বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই বাড়ির অবশিষ্ট অংশে 13 পরিবার বসবাস করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই থাকেন তাঁরা। গত সোমবার বাড়ির ফেরার সময় আচমকাই ঘটনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ওয়ার্ডে যাতায়াতের পথে এমন কাণ্ড দেখে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এর পরেই বুধবার ফিরহাদ হাকিম বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে হাজির হন ঘটনাস্থলে। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র। আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করে এই পরিবারগুলোকে অন্যত্র অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার। এই বাড়ি ভেঙে সেখানে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নতুন ফ্ল্যাট প্রত্যেককে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তবে এই বাড়ি ছাড়লে তাঁরা আর ফিরতে পারবে কি না অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মেয়রের সামনেই। এর পরেই মেয়র বিল্ডিং বিভাগের কর্তাদের বলেন এই 13টি পরিবারের প্রত্যেককে কলকাতা কর্পোরেশন থেকে পজেশন সার্টিফিকেট দিতে। দিন দুইয়ের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হলে বিকল্প জায়গা দেখে এক এক করে তাঁদের সরিয়ে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙা হবে। সেখানে একটা বহুতল হবে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায়।
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বিপজ্জনক হওয়ার পরেও আর্থিক অবস্থা না হওয়ায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে থাকছিলেন এতগুলি পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। তিনি এই পরিবারগুলির মাথার উপর পাকা ছাদ নিরাপদ বাসস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতোই প্রত্যেককে এখন অস্থায়ীভাবে বিকল্প জায়গায় রাখা হবে। এখানেই বাংলার বাড়ি প্রকল্প ফ্ল্যাট তৈরি করে প্রক্যেককে দেওয়া হবে।"