কলকাতা, 22 মে: সামনেই বর্ষা ৷ আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে ভারী বৃ্ষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও করা হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করলেন সচিব স্বপন কুমার কুণ্ডু ৷ অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায় এমন সমস্ত ওয়াটার পকেটে থাকবেন 'জল কর্মী'। অন্যদিকে, বর্ষার মরশুমে 24 ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে সিইএসসি'কেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পৌরনিগমের সেচ, পুলিশ, দমকল, সিইএসসি কর্তা ও আধিকারিকরা ৷
হাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই সংকেত দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। এই পরিস্থিতিতে বর্ষা প্রবেশ সময়ের অপেক্ষা ৷ এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি ওয়াটার পকেটে থাকবেন নিকাশি বিভাগের মজদুর অর্থাৎ জলকর্মী ৷ তাঁদের কাজ হবে যে সমস্ত জায়গায় জল জমেছে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা ৷ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকা এবং মহাত্মা গান্ধি রোডে, ডায়মণ্ড হারবার রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বিধান সরণী, ইএম বাইপাসেও মোতায়ন থাকবেন তারা।
নগরবাসীকে জমা জলের হয়রানি থেকে রেহাই দিতে শহরের গ্যালিপিট, বড় ড্রেনের মুখ পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে ৷ জমা জল সরতে যেতে কোনও ভাবে বাধা না পায় সেই দিকে নজর রাখবে পৌরনিগম। জমা জল সরাতে দ্রুতু পাম্প চালানোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । প্রয়োজন হলে ওই ওয়ার্ড বা বরো কর্তাদের খবর দেওয়া হবে । স্থায়ী পাম্পিং স্টেশনের পাশাপাশি এই বছর আরও 186টি পোর্টেবল পাম্প লাগাচ্ছে নিকাশি বিভাগ।
10 জুন নাগাদ সাধারণত রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করে ৷ এক্ষেত্রে আবার দোসর হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ৷ জোড়া আশঙ্কায় এখন থেকেই লাগানো হবে সেই পাম্প। সেচ দফতর যাতে খালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নেয়, সেই আবেদন করা হয়েছে। মণি খাল ও ইএম বাইপাসের কেপিটি খাল, চৌবাগা খালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে। যাতে পরিসষ্কার রাখা হয় তার জন্য সেচ কর্তাদের বলেছেন। প্রতিটা লক গেটেও নজরদারি বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: