কলকাতা, 31 জুলাই: শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় দফার হকার সমীক্ষার কাজ ৷ কলকাতার চাঁদনি চক, বউবাজার, শিয়ালদা-সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় চলছে সমীক্ষা। দিন দু’য়েকের মধ্যেই শেষ হবে এই প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে 5টি এলাকায় সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ৷ দ্বিতীয় ধাপে আরও 8টি জায়গায় চলছে সমীক্ষার কাজ । বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ওয়ার্ড ভিত্তিক, রাস্তা ও অলিগলি ধরে ডিজিটাল হকার সমীক্ষার কাজ। এই কাজে নিযুক্ত হয়েছেন 560 জন পুরকর্মী। সমীক্ষার সমস্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে নবান্নে।
আজ, বুধবার কলকাতা পুরনিগমে টাউন ভেন্ডিং কমিটির (টিভিসি) বৈঠকের পর নবান্নে রিপোর্ট দেওয়া হবে ৷ এরপরই হকার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ৷ ওয়ার্ড ভিত্তিক সমীক্ষা নিয়ে প্রতিটি বরো এক্সিকিউটিভ সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা করেছে পুরসচিব ৷ দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা আগামী দু’দিনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হকার পুনর্বাসন বিভাগের ভারত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার। ওয়ার্ড ভিত্তিক রাস্তা ধরে সমীক্ষার সময়সীমা প্রাথমিকভাবে ধার্য করা হয়েছে 7 দিন ৷ 16টি বরো অঞ্চলের জন্য 560জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সমীক্ষার কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে ।
এই প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, "প্রথম দফার সমীক্ষা রিপোর্ট নবান্নে চলে গিয়েছে ৷ দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষা দিন দু’য়েকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তা, অলিগলি ধরে হকার সমীক্ষা শুরু হবে। দিন সাতেকের মধ্যেই শহর কলকাতার একটা ছবি উঠে আসবে ৷" চাঁদনি চক এলাকায় রাস্তা দখল করে থাকা হকারদের প্রসঙ্গে জানান, পিচ রাস্তায় কোনও হকার থাকবে না। উচ্ছেদের পর যদি হকার থাকে তবে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করা হবে। নিউমার্কেট এলাকার সমস্যাও মিটেছে ৷
উল্লেখ্য, নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকে তৎপর পুলিশ ও পুরপ্রসাশন। শুরু হয়েছিল ডিজিটাল সমীক্ষা। অতীতে হকার সমীক্ষা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী 59 হাজার হকারের নাম নথিবদ্ধ করা হয়েছিল ৷ যা বর্তমানে সমীক্ষায় এই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে। চলতি ডিজিটাল সমীক্ষায় প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত 12 হাজার হকারের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিউ মার্কেট, বেহালা, গ্র্যান্ড, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, চাঁদনি, শিয়ালদা, কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার, এসপি মুখার্জি রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড-সহ বেশ কিছু জায়গায় সমীক্ষা হয়েছে ৷