মালদা, 27 মার্চ: নির্বাচনে জিততে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে হোটেলে বৈঠক করেছেন তৃণমূল প্রার্থী ৷ শাসকদলের দলদাস হয়ে কাজ করছে পুলিশ ও প্রশাসন ৷ এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে জেলা বিজেপি ৷ বুধবার এই মন্তব্য করে লোকসভা ভোটের ময়দানে উত্তাপ বাড়ালেন উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু ৷ যদিও তাঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব না-দিয়ে তাঁকে বিশ্রামে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এ দিন খগেন মুর্মু অভিযোগ করেন, “প্রতিটি ভোটেই তৃণমূলকে ভোট লুট করতে সাহায্য করে প্রশাসন ও পুলিশ ৷ উত্তর মালদা কেন্দ্রে তৃণমূলের যিনি প্রার্থী হয়েছিলেন, তিনি আগে এই জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন ৷ মালদার ডিআইজিও ছিলেন ৷ নিজের পুরনো চেয়ারকে এখন তিনি ভোটের কাজে ব্যবহার করছেন ৷ তিনি জেলার পুলিশ সুপার ও থানার আইসিদের নিয়ে বেসরকারি হোটেলে বৈঠক করছেন ৷ বেশ কয়েকজন বিডিও, জেলাশাসক-সহ একাধিক পুলিশ অফিসার তৃণমূলের দলদাস হয়ে এখানে কাজ করছেন ৷ এঁরা থাকলে উত্তর মালদায় কিছুতেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় ৷ এ সব পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই তথ্য প্রমাণ-সহ নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানিয়েছি ৷ সেই তালিকায় অন্তত 10 জনের নাম রয়েছে ৷ কমিশনের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে ৷ আমরা চাই, মানুষ নিশ্চিন্তে নিজেদের ইচ্ছেমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক ৷ আমরা শুধু স্বচ্ছ নির্বাচন চাই ৷”
প্রতিদ্বন্দ্বী খগেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উত্তর মালদার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও মানুষ হারার ভয় পেলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করতে থাকেন ৷ আমি যখন কোথাও যাই, আমার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ থাকে ৷ ফলে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তখনই কারও মুখ থেকে বেরোয়, যখন তিনি ভয় পান ৷ আসলে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন ৷ মানুষ বলছে, সাংসদ কোনও কাজ করেননি ৷ এই আওয়াজ হবিবপুর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে ৷ বিদায়ী সাংসদ নিজেও বুঝতে পেরেছেন, কোনও কাজ হয়নি ৷ তিনি আরও জানেন, তাঁর পরাজয় নিশ্চিত ৷ এই কেন্দ্রে এ বার তৃণমূল জিতবে ৷ এ সবই তাঁর মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে ৷ আমি তাঁকে বলব, আপনি বিশ্রাম নিন ৷ এই হতাশা থেকে যেন আপনার আরও বড় কোনও সমস্যা না তৈরি হয় ৷ এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের উত্তর দেওয়ার কোনও মানে হয় না ৷”
আরও পড়ুন: