ফাঁসিদেওয়া (শিলিগুড়ি), 17 জুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ৷ সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি ৷ উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে ৷ রেল সেফটি কমিশন এর তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী ৷ এরপর আহতদের দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান তিনি ৷ আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, আহতদের পরিষেবা দিতে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷
এদিন রেলমন্ত্রী আরও বলেন, "রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (সিআরএস) দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে ৷ কীভাবে মালবাহী ট্রেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে ধাক্কা মারল, তার তদন্ত করা হবে ৷ উদ্ধারকাজের পাশাপাশি যাতে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়, সেটাই এখন প্রধান লক্ষ্য ৷"
এদিন দুর্ঘটনার পর জানা যায়, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ৷ সেইমতো বিকেলে তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন ৷ সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ৷ সেখান থেকে এক স্থানীয়ের বাইকে সওয়ার হয়ে রেলমন্ত্রী রাঙাপানিতে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন ৷
সেখানে পৌঁছে তিনি বলেন, "এখন রাজনীতির সময় নয় ৷ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল ৷ ভবিষ্যতে যাতে এই কারণে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই ব্য়বস্থা করা হবে ৷ এটি মেন লাইন ৷ আপাতত এখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রুটে ট্রেন চলাচল কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়, সেটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"
এদিন রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে ৷ এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলটের ভুল বলে অনুমান অশ্বিনীর ৷ রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিনহা আগেই জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে মালবাহী গাড়িটি সিগনাল অমান্য করে ট্র্যাকে ঢুকে পড়েছিল ৷ আর সেই লাইনে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে তার উপরে উঠে যায় পণ্যবাহী ট্রেনটি ৷
রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আহতদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা হয়েছে ৷ কার কোথায় বাড়ি তা জেনে নেওয়া হয়েছে ৷ সেই মতো তাঁদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ যাঁরা ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ বাকিরা স্থিতিশীল ৷ সকলে যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা পায় সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে ৷"