জলপাইগুড়ি, 20 জুন: দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে চারদিন ৷ এখনও চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধ্বংসস্তূপ ৷ যাত্রী সাধারণের মনে যাতে ভয় বা আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় তার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বগিগুলোকে সবুজ চাদরে ঢেকে দিল রেল দফতর । রাঙাপানি ও চটেরহাট স্টেশনের মাঝে নির্মলজোত এলাকায় ঘটেছিল সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ৷ সেখানেই ট্রেনের বগিগুলোকে সবুজ চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে । দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ৷ তবে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি অত্যন্ত ধীর গতিতে সেখান থেকে পার হচ্ছে । যাত্রীদের মনে যাতে কোনওরকম প্রভাব না পড়ে সেই কারণেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগি ও ধ্বংসস্তূপকে সরিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
বিশেষ করে আপ ও ডাউন রেললাইনের দু'পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মালগাড়ির বগি এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বগির অংশ । গ্যাসকাটার দিয়ে বগিগুলিকে আলাদা করে রেললাইনের পাশেই রাখা হয়েছে । বগিগুলিকে ঢাকার পাশাপাশি 200 মিটার সবুজ কাপড়ের দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে । ওই স্থান দিয়ে কোন ট্রেন গেলেই যাত্রীরা উঁকি দিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে দেখার চেষ্টা করছেন । যাতে কোনওভাবেই যাত্রীরা রেলের দুর্ঘটনার কোন কিছু দেখতে না পারে তাই অই ব্যবস্থা । রেলে 10/1 নম্বর পিলারের কাছে এই সবুজ চাদরের দেওয়াল তোলা হয়েছে ৷
সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটেরহাট ও রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস । কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের পিছেন এসে ধাক্কা মেরে একটি মালগাড়ি ৷ ঘটনার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটো বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় ৷ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের লাগেজ ভ্যান ও জেনারেল বগিতে ঢুকে যায় মালগাড়িটি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে 10 জনের । আহত হন অনেকে ৷ তাঁদের মধ্যে অনেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।